ছেলে বৌমা করোনা হাসপাতালে ভর্তি, দুর্গাপুরে বাড়িতেই মারা গেলেন বাবা, মৃত্যু কি করোনায়? আতঙ্ক এলাকায়
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৩১জুলাইঃ
দুর্গাপুরের ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা পরেশনাথ দে, বয়স ছেষট্টি বছর। আজ অর্থাৎ শুক্রবার ভোরে নিজের বাড়িতেই মারা যান। এ পর্যন্ত্য বিষয়টা শুনে মনে হয়েছিল হয়ত একজন বয়স্ক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে খবর হওয়ার কি হয়েছে। না বিষয়টা নিয়ে খবর হওয়ার মতো কিছুই ছিল না। কিন্তু খবর হল তখনই যখন ওই বৃদ্ধের মৃত্যু নিয়ে আতঙ্ক ছরালো এলাকায়। কারন ওই বৃদ্ধের ছেলে ও ছেলের বো দুজনেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মলানদিঘির করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর বাড়িতে বৃধধের মৃত্যুতে এলাকাবাসোরা আতঙ্কিত এই আসঙ্কায় যে তাহলে কি বৃদ্ধের মৃত্যু করোনাতেই হয়েছে?
জানা গেছে, পরেশনাথবাবুর পরিবারে তাঁর স্ত্রী বর্তমান। এছাড়াও রয়েছেন দুই ছেলে, দুই বৌমা ও নাতি নাতনি। পরেশবাবুর বড় ছেলে গান্ধীমোড়ের বেসরকারী মালতিস্পেশালিটি হাসপাতালে কর্মরত ও তাঁর স্ত্রী মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করেন। দিন কয়েক আগেই পরেশনাথবাবুর বড় ছেলের জ্বর হয়। তাঁর লালারস পরীক্ষার পর জানা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত। এরপর তাঁর পরিবারের প্রত্যেকেরই লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেই পরীক্ষায় বড় ছেলের স্ত্রীর রিপোর্টেও করোনা পজিটিভ মেলে। তবে বাকিদের এখনও রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত্য আসেনি বলে পরিবার সুত্রে জানা গেছে। এদিকে আজ ভোররাতে বাড়িতে অজানা কারনে মৃত্যু হয় পরেশনাথবাবুর। এরপরেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় এখন একটাই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে যে তাহলে কি পরেশনাথবাবুও কি করোনায় আক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন?
এদিকে খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে যায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। সাথে সাথে খবর পাঠানো হয় স্বাস্থ্যদপ্তরেও। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত্য জানা গেছে, ওই বৃদ্ধের মৃতদেহ আপাতত বাড়িতেই রাখা ছিল। সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারন জানা যাবে আর তারপরেই তাঁর মৃতদেহ সৎকার করা হবে। ইতিমধ্যেই ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে পুলিশের তরফে।