সবজির আকাশ ছোঁয়া দাম নিয়ন্ত্রণে দুর্গাপুরে বাজারে বিশেষ অভিযান
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১০ জুলাইঃ
দেরিতে হলেও বাজারে অগ্নিমুল্য দামে রাশ টানতে অভিযানে নামলো প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই এই অভিযান শুরু। বুধবার সারা রাজ্যের সাথে সাথে পশ্চিম বর্ধমান জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে এই অভিযান। এই জেলার দুটি মহকুমা আসানসোল ও দুর্গাপুরের বাজারগুলিতে এই অভিযানে নামলো প্রশাসন। মাস খানেক ধরেই প্রতিটি বাজারের কাঁচা সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া। নাভিশ্বাস উঠছে সাধারন মানুষের। দুর্গাপুর ও আসানসোল মহকুমায় রয়েছে সাতটি পাইকারী ও একশোরও বেশি খুচরো বাজার। প্রতিটি বাজারেই সবজির দামে লেগেছে আগুন। মঙ্গলবার পর্যন্ত্য পটল বাদে অন্যান্য কাঁচা সবজির দাম ৮০-৯০ এর কাছাকাছি ঘোরা ফেরা করেছে।
দুর্গাপুরের আশীষ মার্কেট দিয়ে শুরু হল এদিনের প্রথম অভিযান। দুর্গাপুর ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে এদিন এই ইস্পাত নগরীর এই মার্কেটে অভিযান চালানো হয়। সবজি, মাছ অর্থাৎ কাঁচা বাজারের দাম কেন অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে সেই বিষয়েও যেমন তাঁরা খোঁজ খবর নেন, তেমনি পাশাপাশি সাধারন ও ইলেক্ট্রনিক্স দাড়িপাল্লাগুলিও পরীক্ষা করে দেখেন। সেই পরীক্ষায় বেশ কিছু ওজন মাপক যন্ত্রে গরমিল খুঁজে পান আর তারপরেই সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। পাশাপাশি এই ধরনের কারচুপি যে ব্যবসায়ীরা করেছেন তাদেরকেও দপ্তরে ডেকে পাঠনো হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
সোমবার নবান্নতে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই বৈঠক থেকে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেন আগামী দশদিনের মধ্যে আনাজের দাম কমিয়ে তা যেন সাধারন মানুষের আয়ত্বের মধ্যে আনা হয়। অসাধু ব্যবসায়ীদের পথে আনার নির্দেশ দেন সিআইডি-এসটিএফকেও। বাজারে নজরদারিতে এনফোর্সমেন্ট বিভাগ, পুলিশ, জেলাশাসক, পুলিশ সুপারকে। এরপরেই আজ সকাল থেকে শুরু হয় অভিযান।
কেন সবজির দাম এত বেড়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে দুর্গাপুরের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিক জে কে দাস বলেন, “আমরা বিশদে খোঁজ নিয়ে যা জানতে পেরেছি তা হল পাইকারি বাজারে মূল্য কিছুটা নিয়ন্ত্রনে থাকলেও, দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে খুচরো বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে।” চন্ডিদাস বাজারের এক খুচরো ব্যবসায়ী জানান, “ফলন ও জোগানে ঘাটতিই মুলত; এর জন্য দায়ী। পাইকারি বাজার থেকে সবজি কেনার পর তা বাজারে নিয়ে আসার পথে অনেক সময় সবজি খারাপ হয়ে যাচ্ছে, ফলে সেই ক্ষতির মূল্য যোগ করে বিক্রি করা ছাড়া আমাদের উপায় নেই। ফলে আনাজের দাম বেড়ে যাচ্ছে”