জেলার দুটি মহকুমায় তারকা খচিত পুজা কার্নিভাল
আমার কথা, মুনমুন দত্ত, ১৪ অক্টোবর:
সাড়ম্বরে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় আসানসোল ও দুর্গাপুর মহকুমাতে সম্পূর্ণ হল পুজো কার্নিভাল। কার্নিভাল দেখতে দুই মহকুমাতে নেমেছিল জনতার ঢল। নির্বিঘ্নে কার্নিভাল সম্পূর্ণ হাওয়ায় খুশি জেলা প্রশাসনও।
সোমবার পশ্চিম বর্ধমান জেলায় আসানসোল ও দুর্গাপুর মহকুমাতে তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে সাড়ম্বরে আয়োজিত হল এই বছরের দুর্গা পুজো কার্নিভাল আসানসোলে এবার কার্নিভালের রুট পরিবর্তন করা হয়েছিল। রবীন্দ্র ভবন সংলগ্ন রোডের পরিবর্তে এবার কার্নিভালটি হয় বার্ণপুর রোডে। এদিন বিকেলে নির্দিষ্ট সময় শোভাযাত্রা সহকারে চিত্রা মোড় থেকে কার্নিভালে অংশ নেওয়া পুজো কমিটির প্রতিমা সহ ট্যাবলো গুলো আসে পরপর। শেষ হয় ভগৎ সিং মোড়ে। পুলিশ লাইন সংলগ্ন বার্ণপুর রোডে করা হয়েছিল তিনটি বড় মঞ্চ । সেই মঞ্চে পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান । গতবার আসানসোল মহকুমা পুজো কার্নিভালে অংশ নিয়েছিল ১৬ টি পুজো কমিটি। এবার একটি বেড়ে কার্নিভালে অংশ নিল ১৭টি পুজো কমিটি । অন্যদিকে এদিন দুর্গাপুর মহকুমা কার্নিভাল হয় মহাত্মা গান্ধী রোডে। মূল অনুষ্ঠান হয় মহিলা মহাবিদ্যালয় চত্বরে। দুর্গাপুর কার্নিভালে গতবার অংশ নিয়েছিল ১৬ টি পুজো কমিটি, এবার কমে তা হল ১৪ টি। পুজো কমিটিগুলির রংবেরঙের সাজানো ট্যাবলো সহ বর্ণাঢ্য সংস্কৃতি অনুষ্ঠান উপভোগ করে উপস্থিত জনতা। আসানসোলের কার্নিভায়ালের মূল আকর্ষণ ছিল অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের নাচ ও অন্যদিকে দুর্গাপুরের কার্নিভালে উপস্থিত ছিল অভিনেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। এছাড়াও দুই মহকুমার কার্নিভালেই উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পোন্নমবালম এস, পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী। আসানসোলে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক, সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, মেয়র বিধান উপাধ্যায় প্রমূখ। দুর্গাপুরে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, এডিডিএ এর চেয়ারম্যান কবি দত্ত, মহকুমা শাসক সৌরভ চ্যাটার্জি সহ আরো অনেক প্রশাসনিক কর্তাব্যাক্তিরা। দুর্গাপুর কার্নিভালে এবারে প্রথম স্থান পায় মার্কনি দক্ষিণপল্লী সর্বজনীন পুজা কমিটি, দ্বিতীয় স্থান পায় নবারুন ক্লাব পুজো কমিটি ও তৃতীয় স্থান পায় চতুরঙ্গ পুজো কমিটি। এছাড়াও দুটি বিশেষ পুরস্কার ছিল। যার মধ্যে একটি হল ‘নিয়মানুবর্তিতা’ যা যায় বুদ্ধবিহার পুজো কমিটির দখলে ও অপরটি বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হয় তাদের যারা এবারে পুজোতে জনসাধারনের জন্য ভোটিং অ্যাপ তৈরী করেছেন তাদের। গতবারের থেকে এবার অনেক বেশি সংখ্য মানুষ কার্নিভাল দেখতে উপস্থিত হয়েছিল বলে দাবি প্রশাসন।