দুর্গাপুরে স্টোনম্যান? ডিএসপি টাউনশিপে দোকানের বাইরে শুয়ে থাকা ব্যাক্তিকে ইট দিয়ে খুনের চেষ্টা
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১৩এপ্রিলঃ
করোনা ভাইরাসকে প্রতিহত করতে সরকারের দ্বারা জারি করা লকডাউনকে মানাতে পুলিশ প্রশাসন যখন হিমশিম খাচ্ছে তখন সেই লকডাউনের সুযোগ নিয়ে শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরের বুকে রাতের অন্ধকারে ঘটে গেল এক রোমর্ষক ঘটনা। আচমকাই এক সেলুন দোকানের কর্মীর উপর হামলা আর তাঁকে খুনের চেষ্টা করল কোনো এক অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতি। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর বি-জোনের শরৎচন্দ্র রোডের উপরে।
জানা গেছে, কর্পূরী ঠাকুর নামে আহত ওই ব্যাক্তির কাকা ওই সেলুনটির মালিক। বিহারের বাসিন্দা ওই ব্যাক্তির কাকা বাড়ি গিয়ে লকডাউনের কারনে আটকে পড়েন। এদিকে কর্পূরী ঠাকুরও লকডাউনের কারনে দুর্গাপুরে আটকে যান। তিনি দোকানে মধ্যেই থাকছিলেন। প্রচন্ড গরমের জন্য গতকাল রাতে তিনি দোকানের বাইরে মশারী টাঙ্গিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। আনুমানিক রাত প্রায় ১টা ৩০ নাগাদ হঠাৎ তার ঘুম ভেঙ্গে যায় আর মাথায় যন্ত্রণা অনুভব করেন। মাথায় হাত দিয়ে তিনি চুলের মধ্যে বালি বালি অনুভব করেন। এরপর উঠে তিনি দোকানের ভেতরে যান চুল ধুতে। চুলে জল দেওয়ার পর তিনি দেখেন মাথা থেকে রক্ত বের হচ্ছে। সাথে সাথে তিনি চিৎকার করে আশেপাশের লোকজনকে ডাকেন। তাঁরা ছুটে এসে ওই ব্যাক্তির মাথা গামছা দিয়ে ক্ষতর জায়গাটি বেঁধে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের মেন হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্পূরী ঠাকুরের মাথায় ১০টি সেলাই পড়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে বিষয়টি চাউড় হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ওই সেলুনের পাশের দোকানের বাইরে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া ছবি সংগ্রহ করেছে পুলিশ। সেই ছবিতে একজন ব্যাক্তির আবছা উপস্থিতি দেখা গেছে। ছবি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তর তল্লাশীও শুরু হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। আপাততঃ আহত ব্যাক্তির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি(পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা জানিয়েছেন যে, “আমরা কর্পূরী ঠাকুরের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি ওনার তেমন কোনো শ্ত্রু নেই। তারপরেও কেউ কেন ওভাবে তার উপর প্রাণঘাতী হামলা চালালো তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি অভিযুক্ত ব্যাক্তি আমাদের জালে ধরা পড়বে।”