দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে প্রৌঢ়ার জটিল অস্ত্রপচারে সাফল্য
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১৭ জুলাই:
পশ্চিমবঙ্গের মানুষ একসময় চিকিৎসা বা জটিল অপারেশনের জন্য দক্ষিণ ভারতে ভিড় জমাতেন। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে ততই বাংলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত হয়েছে। বিশেষ করে এখন সরকারি হাসপাতালগুলোও জটিল থেকে জটিলতর অস্ত্রপচার করে সঙ্কটাপন্ন রোগীর প্রাণ বাঁচাচ্ছে। ভুঁইফোঁড় নার্সিংহোমগুলোর থেকে অনেক কম খরচে বা বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতালে ভাল চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। ইদানীং কালে শুধু কলকাতা নয়, জেলার থেকে মহকুমা বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালেও এমন সব অস্ত্রপচার হচ্ছে যা শহরের বড় নার্সিংহোম বা বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে হয়ে থাকে। জটিল অস্ত্রপচারও নিখুঁতভাবে করছেন মহকুমা সরকারি হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা। জটিল অস্ত্রপচারে প্রাণ বেঁচে যাচ্ছে মুমূর্ষু রোগীর।
গোপাল মাঠের বাসিন্দা, ৫২ বছর প্রৌঢ়ার আজ পেটের ভিতরে থেকে টিউমার অপারেশন করে অসাধ্য সাধন করলেন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের দুই চিকিৎসক নীলাদ্রি সেন (স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ) ও আসমাউল আলাম অ্যানাস্থেসিস্ট। টিউমারটির ওজন প্রায় আট কিলো।
ওই প্রৌঢ়ার পেটে বাড়তে শুরু করেছিল বিশালাকার টিউমারটিম পেটের ভেতরে রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে গিয়েছিল। এমন অবস্থায় টিউমার সার্জারি করতে গেলে জরায়ুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রৌঢ়ার প্রাণের ঝুঁকিও ছিলো। তাঁকে বাঁচিয়ে নিরাপদে পেট থেকে প্রায় ৮ কেজি ওজনের টিউমার বের করে প্রাণ বাঁচালেন দুর্গাপুরের সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসকরা