মেঝেতে স্ত্রীর মৃতদেহ, সিলিংয়ে স্বামীর ঝুলন্ত দেহ “একসাথে দাহ করার আর্জি”
আমার কথা, অন্ডাল, ২৯ মার্চ:
স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন স্বামী। চনচনি কোলিয়ারির ভূঁইয়া পাড়া এলাকার ঘটনা। দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
শুক্রবার সকালে চনচনি কোলিয়ারির ভূঁইয়া পাড়া এলাকায় নিজের ঘর থেকেই উদ্ধার হল নীলকন্ঠ বাউরী (৪৭) ও লিলি বাউরী (৩৭) নামে দম্পতির মৃতদেহ। ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ঘরে লিলি বাউরির দেহটি পড়েছিল ঘরের মেঝেতে। অন্যদিকে ঘরের সিলিংএ ঝুলছিল নীলকণ্ঠের নিথর দেহ। স্ত্রীকে শ্বাস রোধ করে খুন করার পর নীলকন্ঠ আত্মঘাতী হয়েছে বলে ধারণা মৃতের আত্মীয় পরিজন ও প্রতিবেশীদের। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় পরিবারে নীলকন্ঠ ও লিলির সাথে থাকতো তাদের ছেলে রোহিত ও মেয়ে। পেশায় গাড়ির চালক ছিলেন নীলকন্ঠ, আর স্ত্রী লিলি উখড়া বাজারে একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন। স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করত নীলকন্ঠ। এই নিয়ে প্রায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হতো। এই কারণে প্রতিবেশীদের ধারণা সন্দেহের কারণেই স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে সম্ভবত: খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন নীলকন্ঠ।
মৃত দম্পতির ছেলে রোহিত বাউরি জানান “গতকাল রাত দশটা নাগাদ একসাথে খাওয়া দাওয়ার পর সবাই শুয়ে পড়ে। সকাল ন’টা পর্যন্ত বাবা-মা যে ঘরে ছিল সেই ঘরের দরজা না খোলায় ডাকাডাকি শুরু করি। সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রাচীর টপকে জানালা দিয়ে দেখি মা পরে রয়েছে মেঝের উপর, গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় সিলিং এ ঝুলছে বাবার শরীর”
ঘটনার খবর শুনে পাড়া-প্রতিবেশীরাও জড়ো হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে উখড়া ফাঁড়ির পুলিশ। এরপর দরজা ভেঙে দেহ দুটি উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে পুলিশ। যে ঘর থেকে দেহ দুটি উদ্ধার হয় সেই ঘরের দেওয়ালে একটি লেখা নজরে পরে প্রত্যক্ষদর্শীদের। দেওয়ালে লেখা রয়েছে দু’জনের দেহ যেন একসাথে দাহ করা হয়। মৃত্যুর আগে সম্ভবত সেটি নীলকন্ঠ লিখেছেন বলে ধারণা তদন্তকারীদের। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে, ময়নাতন্ত্রের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানাই উখড়া ফাঁড়ির এক পুলিশ আধিকারিক।