রেষারেষির কারনে মৃত্যু সুতন্দ্রার, কোনো ইভটিজিং হয়নি, দাবি কমিশনারের

আমার কথা, পানাগড়, ২৪ ফেব্রুয়ারীঃ
ইভটিজিং নয়, বরং দুটি গাড়ির রেষারেষির কারনে মৃত্যু হয়েছে সুতন্দ্রা চ্যাটার্জির, এমনতাই দাবি করলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরীর। সাদা গাড়িটি নয় বরং সুতন্দ্রাদের গাড়িটি ওই গাড়িটিকে ধাওয়া করেছিল বলেও জানান কমিশনার।
চার চাকার মধ্যে থাকা মহিলাকে কটূক্তি করার অভিযোগ ওঠে পানাগড়ের কয়েকজন মদ্যপ যুবকদের বিরুদ্ধে।তাদের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে মৃত্য হয় এক মহিলার এমনই অভিযোগ কে চাঞ্চল্য ছড়ায় পানাগড়ে।মৃতার নাম সূতন্দ্রা চ্যাটার্জি(২৭)।তার বাড়ি হুগলির চন্দন নগরে।
মহিলার সাথে থাকা যুবকরা অভিযোগ তোলে রবিবার গভীর রাতে একটি ছোট গাড়িতে করে চালক সহ মোট ৫জন চন্দননগর থেকে গয়ার উদ্যেশ্যে রওনা দিয়েছিল।বুদবুদে আগে একটি পেট্রোল পাম্পে মহিলার গাড়িতে তেল ভরানোর পর থেকে পানাগড়ের কয়েকজন যুবক একটি ছোট গাড়িতে করে তাদের কটূক্তি করতে করতে আসে।রাস্তায় দুটি গাড়ির মধ্যে ঠোকাঠুকি হয়।পানাগড় ঢোকার পর মহিলার গাড়িটি পানাগড়ের গাড়িটিকে ধাওয়া করে।পড়ে পানাগড় বাজারের রাইসমিল রোডের মুখে তাদের গাড়ি পানাগড়ের যুবকরা আটকাতে গেলে চন্দননগরের ওই ছোট গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পানাগড়ের যুবকদের গাড়ির সামনের অংশে ধাক্কা মেরে রাইস মিল রোডে দ্রুত গতিতে ঢুকিয়ে দিলে ছোট গাড়িটি প্রথমে একটি দোকানের খুঁটিয়ে ধাক্কা মারার পর রাস্তার ধারে বাথরুমে দেওয়াল ভেঙে রাস্তার ওপর প্রান্তে রাস্তার ধারে ব্যবসায়ীদের পরে থাকা লোহার যন্ত্রাংশে ধাক্কা মেরে রাস্তার উপর উল্টে গিয়ে লাট্টুর মত কয়েক পাক ঘুরতে থাকে।সেই সময় গাড়িতে থাকা মহিলার মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই।বাকি ২জন অল্প বিস্তর আহত হয়।বাকি দু জনকে আহত অবস্থায় উধহার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কাঁকসা থানার পুলিশ পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করার পাশাপাশি পুলিশ দুটি গাড়িকে আটক করে ও দেহ উদ্ধার করে।সোমবার দুপুরে দেহ মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় ও পরিবারে খবর দেয়।পরে মৃতার মা তনুশ্রী চ্যাটার্জি সোমবার থানায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়ে থানায় অভিযোগ জানান। অন্যদিকে মৃতার গাড়িতে থাকা যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ অনৈতিক ভাবে থানায় আটকে রাখার জন্য মৃতার মা দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়া সময় খবর পেয়ে দেহ ফিরিয়ে নিয়ে কাঁকসা থানায় মেয়ের দেহ নিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানানোর পাশাপাশি যাদের অনৈতিক ভাবে আটকে রাখা হয় তাদের ছাড়ার জন্য দাবি জানান।ঘটনার জেরে কাঁকসা থানা চত্বরে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে পরে পুলিশ মৃতার পরিবার কে দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের অস্বাস দিলে দেহ নিয়ে বাড়ির উদ্যেশ্যে রওনা দেন মৃতার মা ও পরিবার।পাশাপাশি পানাগড়ে দুর্ঘটনায় মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় কাঁকসা থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করে মহিলাকে ইভটিজিং করার বিষয় অস্বীকার করেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি সুনীল কুমার চৌধুরী।তিনি জানিয়েছেন,বুদবুদের আগে একটি পেট্রোল পাম্পে ওই মহিলার গাড়ি তেল ভরে তারা গয়ার উদ্যেশ্যে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে এগোতে থাকেন।পানাগড় ঢোকার মুখে পানাগড়ের যুবকদের সাদা গাড়িটি আগে ঢোকে।তার পিছনে মহিলার গাড়ি ধাওয়া করে।পরের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দুর্ঘটনাস্থল এর কয়েক মিটার দূরের একটি ভিডিও দেখিয়ে জানান সেখানেও মহিলার গাড়ি ধাওয়া করে পানাগড়ের যুবকদের গাড়ি সেটাই স্পষ্ট দেখা গেছে।পারাজ থেকে পানাগড় পর্যন্ত মাঝে কি ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।যদিও সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায় নি।গাড়িতে কতজন ছিলো তাদের পরিচয় পেয়ে তাদের খোঁজ চালানো হোচ্ছে।
বিজেপি নেতা রমন শর্মার অভিযোগ,রাজ্যে মহিলাদের কোনো নিরাপত্তা নেই আবারও এই ঘটনায় প্রমাণিত হলো।রাস্তায় মহিলারা কোনো ভাবেই সুরক্ষিত নয় বলে দাবি তোলেন তিনি।
যদিও তৃণমূল নেতা পল্লব ব্যানার্জি জানিয়েছেন,একটি মর্মান্তির ঘটনা ঘটেছে।প্রশাসন প্রশাসনের মত কাজ করবে।বিজেপি অনেক অভিযোগ করবে।তাদের কাজ শুধু অভিযোগ করা ছাড়া আর কিছু না।