সিন্ডিকেট দ্বন্দ্ব, অশান্তির জেরে তেঁতে উঠল আরতি গ্রাম
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২০ আগস্ট:
দুই সিন্ডিকেট গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে ছড়ালো উত্তেজনা। পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে পরিস্থিতি। জমি কেনা বেচার দখল ঘিরে দ্বন্দ্ব বলে মত স্থানীয়দের। রবিবার লাউদোহা ব্লকের আরতি গ্রামের ঘটনা।
রবিবার দুর্গাপুর-ফরিদপুর (লাউদোহা) ব্লকের আরতি গ্রামে দুই সিন্ডিকেট গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষে এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে এলাকায় জমি কেনা বেচা ও প্রোমোটারিং ব্যবসায় সক্রিয় রয়েছে দুটি গোষ্ঠী। ব্যবসায়িক দখলদারিকে কেন্দ্র করে দুটি গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের। রবিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ একটি গোষ্ঠীর লোকজন অন্য গোষ্ঠীর সিন্ডিকেট অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে জড়ো হয় অপর গোষ্ঠীর লোকজনও। প্রথমে বচসা তারপর সংঘর্ষে জড়ায় দুই গোষ্ঠী। সংঘর্ষের খবরে এলাকায় ছড়ায় উত্তেজনা। একটি গোষ্ঠীর কর্মী সেখ মোবারক জানান সেখ মাফিজুল ও সেখ আবজাল এদিন সকালে তাদের সংস্থার অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়। শাসক দলের নেতাদের একাংশের মদতে ওরা এলাকার মানুষকে ভয় দেখিয়ে জমি দখল করছে। আমরা তার প্রতিবাদ করায় আমাদের দপ্তরে ওরা তালা লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ জানান শেখ মোবারক। অভিযোগ অস্বীকার করে অপর গোষ্ঠীর শেখ মাফিজুল বলেন ওরা এলাকায় সিন্ডিকেট রাজ চালাচ্ছে। ওদের নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোরা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এদিন সকালে ওই গোষ্ঠীর লোকজন নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়ায়। দ্বন্দ্বের কারণে ওরা নিজেরাই নিজেদের অফিসে তালা লাগিয়েছে বলে জানান শেখ মাফিজুল।
দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এদিন এলাকায় ছড়ায় চরম উত্তেজনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ফরিদপুর(লাউদোহা) থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের চেষ্টাই নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের ইচ্ছাপুর গ্রামের অঞ্চল সভাপতি কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ঘটনার সঙ্গে দলের কোন সম্পর্ক নেই। জমি কেনা বেচা নিয়ে এলাকায় একটি ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশ বিষয়টি দেখছে বলে জানান কাঞ্চন বাবু।