ক্রেতাদের স্বার্থে কালোবাজারী রুখতে বেনাচিতি বাজারে দুর্গাপুর বনিকসভার অস্থায়ী ক্যাম্প
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১৩এপ্রিলঃ
ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১৭ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে দুর্গাপুর বনিকসভার পক্ষ থেকে। কিন্তু এখানেই থেমে না থেকে আরো এক ধাপ এগিয়ে এবার সরাসরি সাধারন ও দুঃস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার নিয়ে দুর্গাপুর বাজারে খোলা হল একটি অস্থায়ী ক্যাম্প। এই ক্যাম্পের মূল কাজ হল লকডাউন চলাকালীন বাজারের ক্রেতা বা বিক্রেতা উভয়েরই সমস্ত সমস্যার কথা শুনে সেগুলি সমাধান করা। পাশপাশি সকাল ৮-১২টা পর্যন্ত্য লকডাউন নিয়ে সাধারন মানুষকে সচেতন করা।
রাজ্যে ২৩ মার্চ থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে তা চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত্য করে দেওয়া হয়েছে। আর এই লকডাউনে যাতে কেউ অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না বেরোতে পারে তার দিকে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু তারপরেও লকডাউনের সুযোগ নিয়ে একদল অসাধু ব্যবসায়ী বেশী মুনাফার লোভে অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে তা বিক্রি করছে বলে অভিযোগ, আর এই মুহূর্তে অপারগ ক্রেতাদের তা বেশি দাম দিয়েই কিনতে হচ্ছে। ফলে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে ক্রেতাদের। দুর্গাপুর বনিকসভার এই অস্থায়ী ক্যাম্পে ক্রেতারা যদি সেই সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের নামে সঠিকভাবে অভিযোগ জানান তাহলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে বনিকসভা। অপরদিকে বিক্রেতা বা ব্যবসায়ীরাও যদি কোনো সমস্যার মধ্যে পড়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করেন তাহলে তাদের পাশেও থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দুর্গাপুর বনিকসভা।
এছাড়াও দুর্গাপুর বনিকসভার তরফে আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে ওই অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে দুর্গাপুরের ৪৩টি ওয়ার্ডে বসবাসকারী মোট ৪০০-৫০০ জন গরীব অসহায় মানুষদের মধ্যে লকডাউন চলাকালীন বিকেলে খাদ্য সামগ্রী যেমন চাল, দাল, তেল, নুন সহ অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য বিতরন করা হবে বলে জানান দুর্গাপুর বনিকসভার সভাপতি কবি দত্ত। সাথে তিনি এও জানান যে, “চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত্য লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে আর আমাদের এই অস্থায়ী ক্যাম্প চলবেও ততদিন। যদি লকডাউন এরপরে আরো বাড়ানো হয় তো তাহলে আমরা এই ক্যাম্পের মাধ্যমে সাধারন মানুষের পাশে ততদিনই থাকব।”
দুর্গাপুর বনিকসভার পক্ষ থেকে এই অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরী করাতে বেশ খুশি শিল্পাঞ্চলবাসী। তাদের বক্তব্য যে লকডাউন চলাকালীন জিনিসপত্র কেনাকাটা করার ক্ষেত্রে মাঝে মধ্যেই তাদের নানা সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে আর তা নিয়ে ঠিক কোথায় আর কার কাছে অভিযোগ জানাবেন তা তাঁরা ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলেন না। এই অস্থায়ী ক্যাম্পের দরুন হয়ত এবার তাদের এই সমস্যার সমাধান হবে।
এদিন এই অস্থায়ী ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি(পূর্ব) স্বপন দত্ত, দুর্গাপুর বনিকসভার সভাপতি কবি দত্ত, ২নং বোরো কমিটির চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ হালদার প্রমূখ।