উপনির্বাচনে পরাজয়ের পরেই আসানসোলে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে ধুন্ধুমার কান্ড
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(আসানসোল), ১৮ এপ্রিলঃ
গত লোকসভা উপ নির্বাচনে দলীয় কর্মীদের প্রাপ্য টাকা দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ তুলে রবিবার আসানসোলের বিজেপির জেলা দলীয় কার্যালয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায়। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দলীয় কর্মীদের একাংশ।এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে ।যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি “আমার কথা”। তবে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও সাড়া ফেলেছে শিল্পাঞ্চলে।
আসানসোল লোকসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে পর্যালোচনা করার জন্য রবিবার একটি বৈঠক বসেছিল বিজেপি-র জেলা কার্যালয়ে। সেই বৈঠকে দলীয় কর্মীদের একাংশ অভিযোগ করেন জেলা নেতৃত্বের দুর্নীতির কারণে যারা রাতদিন নির্বাচনের জন্য প্ররিশ্রম করেছেন সেইসব দলীয় কর্মীরা তাদের প্রাপ্য টাকা পাননি। সেই টাকা দলীয় নেতৃত্ব নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এমনকি জেলা সভাপতি সহ দলীয় নেতৃত্ব বদলের দাবিও তোলেন কর্মীদের একাংশ। নতুন করে নির্বাচন করে যোগ্য ব্যক্তিদের দলের দায়িত্বে দেওয়ার দাবি তোলেন কর্মীরা। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ক্রমশ উত্তাপ বাড়তে থাকে। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে বচসা শুরু হয়। তার পর তা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়।
যদিও ওই ঘটনাকে সামান্য হই-হট্টগোল বলে দাবি করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ দে। তিনি বলেন, “কর্মীদের কিছু মান অভিমান ক্ষোভ বিক্ষোভ ছিল। সেই গুলোর জন্যই তারা আমাকে বলতে এসেছিলো। হেরে যাওয়াটা কেউ মেনে নিতে পারছে না। সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে হবে, সে দাবি তারা রাখে। বুথ ভিত্তিক যে টাকা দেওয়ার ব্যাপার ছিল সারাদিন ব্যাপী যারা কাজ করেছে তাদের খাওয়া দাওয়া বাবদ সেই টাকা সবাই পাননি। কেউ কম পেয়েছে, কারন হিসেবের ব্যাপার আছে। ভুল বোঝাবুঝি সহ বিভিন্ন ধরনের আবদার ও দাবি নিয়ে একটু হইহট্টগোল হয়েছে নিজেদের মধ্যে, বন্ধ ঘরে।
অন্যদিকে বিষয়টিকে নিয়ে কটাক্ষ করেতে ছাড়েনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল জেলা শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি অভিজিৎ ঘটক এবিষয়ে বলেন, “যেভাবে আজকে দিনে বিজেপি পরাজিত হয়েছে, তাতে বিজেপির কর্মীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। আর এই হতাশার বহিঃপ্রকাশ হয়েছে রবিবারের ঘটনায়।” পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, এখন বিজেপির ঝাণ্ডা লাগাবার লোক নেই। এজেন্সির মাধ্যমে লেবারদের মাধ্যমে ঝাণ্ডা লাগাচ্ছে। বুথে টাকা পয়সা দিয়ে ছেলেদের বসাচ্ছে। এভাবে কোনও পার্টি চলে না।