“শ্রমিকদের স্বার্থ বিক্রি করে দিতে চাইছে কেন্দ্র”, সৃজনীর উপচে পড়া ভিড়ে প্রতিবাদের বার্তা শ্রমমন্ত্রীর
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৬আগস্টঃ
আনুমানিক নয় মাস, তারপরেই রাজ্যে হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন আর এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমে পড়ল তৃনমূল কংগ্রেস। এমনিতে সারা বিশ্বের সাথে সাথে এই রাজ্যেও করোনার থাবায় সমস্ত পরিস্থিতি উলোটপালট হয়ে গেছে কিন্তু তার মধ্যেই নির্বাচনী প্রস্তুতির জন্য কোমর বাঁধতে শুরু করল শাসকদল-লক্ষ্য ২০২১ এ বাংলার মসনদ। ইতিমধ্যেই এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলে প্রচুর রদবদল করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় আর নেতা নেতৃরা তাদের যোগ্যতা প্রমান করার জন্য সাথে দলনেত্রীর মন জয় করতে নিচ্ছেন নানা কর্মসূচী। রবিবার এরকমই এক কর্মসূচীর ডাক দিয়ে শ্রমিকসভার আয়োজন করা হয়েছিল শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে। দলের রদবদলের পর শিল্পাঞ্চলে কো অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার আইএনটিটিইউসি সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়াল। তারপর আজ প্রথম সৃজনী প্রেক্ষাগ্রহে এক শ্রমিকসভার আয়োজনের উদ্যোগ নেন তিনি।
দুর্গাপুর মূলতঃ শিল্পকেন্দ্রিক শহর আর এই শহরের অধিকাংশ ভোটার শ্রমিক তাই এই দুর্গাপুরের দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে জয় পেতে গেলে আগে দরকার এই শ্রমিকদের মন জয় করার। কারন ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে এই দুটি কেন্দ্রেই শোচনীয় পরাজয় হয়েছিল শাসকদলের। তাই এবারে কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না ঘাস ফুল শিবির। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দুর্গাপুরের এই দুটি কেন্দ্র শাসকদলে করায়ত্ব করতে চলেছে সে ব্যাপারে একশ শতাংশ নিশ্চিত কারন এদিনের শ্রমিকসভা নাকি সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে বলে দাবি করলেন এদিনের সমাবেশে উপস্থিত রাজ্যের শ্রম মন্ত্রী তথা আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক।
“কেন্দ্র সরকার সমস্ত শ্রম আইনগুলিকে তুলে দিতে চাইছে। শ্রমিকদের স্বার্থে যে অধিকার রয়েছে সেই অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে, তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাইছি আমরা এমনটাই জানালেন শ্রম মন্ত্রী। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সরকারী শিল্পগুলিকে বেসরকারীকরনের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এছাড়াও অন্যান্য আরো অনেক সরকারী সংস্থা ব্যাক্তিগত মালিকানার হাতে দেওয়ার জন্য বাজেটও পাশ হয়ে গেছে, আজ নয়ত কাল তা হয়ত হয়েও যাবে”- এমনটাই জানালেন মলয় ঘটক। ইতিমধ্যেই শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরের মূল দুটি বড় কারখানা মিশ্র ইস্পাত কারখানা ও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার বিলগ্নীকরনের পুর্বাভাস পাওয়াই গেছে। তাই দুর্গাপুরের শ্রমিকদের ভবিষ্যত এক অনিশ্চয়রতার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে আর সেই আবেগের জায়গাটাকেই মূলতঃ ধরে এগোতে চাইছে শাসকদল তা অবশ্যই প্রমানিত আজকের এই শ্রমিকসভা।
এদিনের শ্রমিকসভায় আরো যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা হলেন আসানসোলের মেয়র তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারী, দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি, জেলার অপর এক কো অর্ডিনেটর হরে রাম সিং, জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রূপেশ যাদব সহ দুর্গাপুরের মেয়র পারিষদ, পুরপিতা ও পুরমাতার।