বালি ঘাটের দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে ছড়ালো উত্তেজনা
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২১ আগস্টঃ
বালিঘাটের দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে ছড়ানো উত্তেজনা। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে পাণ্ডবেশ্বর এর বৈদ্যনাথপুর পঞ্চায়েতের কোন্দা বালিঘাটে। পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে পরিস্থিতি। ঘটনাটি নিয়ে রয়েছে এলাকায় চাপা উত্তেজনা।
পাণ্ডবেশ্বরের কোন্দা গ্রামের বাসিন্দা চিন্ময় ব্যানার্জি জানান পাণ্ডবেশ্বর এর কোন্দা এলাকায় অজয় নদীর বালিঘাট রয়েছে। এই ঘাট থেকে খনি সংস্থা ইসিএল প্রয়োজনে বালি তোলা হয়। তিনি জানান কোন্দা গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি ও পার্শ্ববর্তী গ্রাম গোবিন্দপুর এর কয়েকজন মিলে এই ঘাটটি দখল করে অবৈধভাবে বালি তোলার কাজ শুরু করতে চাইছে। চিন্ময় বাবু বলেন এই ঘাটে দীর্ঘ ৫০ বছর এলাকার বহু দিনমজুর বালি লোডের কাজ করে জীবিকা অর্জন করছেন। হঠাৎ করে এলাকার সঞ্জয় চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে কয়েকজন ঘাট দখল করে মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালি তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন এমনটা হলে গ্রামের যারা বালি লোড এর কাজে যুক্ত তারা জীবিকা হারাবে। আর সেই জন্যই বুধবার সকালে গ্রামবাসীরা ঘাট দখল করতে আসা ব্যক্তিদের বালি তোলার মেশিন ঘাটে নামতে বাধা দেন। ঘটনায় উত্তেজনা বাড়ে এলাকায়। দুই পক্ষের বহু মানুষ জমায়েত হয় নদী ঘাটে। কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আগেই ঘটনাস্থলে পৌছায় পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ। পুলিশ গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
অন্যদিকে যার বিরুদ্ধে ঘাট দখলের অভিযোগ উঠছে সেই সঞ্জয় চক্রবর্তী তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পাণ্ডবেশ্বরের কোন্দার এই বালিঘাটটি বেশ কয়েকজন বালি মাফিয়ারা দখল করে বসে আছে। তারা অবৈধভাবে বালির কারবার চালাচ্ছেন। পাশাপাশি নদী ঘাট সংলগ্ন এলাকায় গেট লাগিয়ে দিয়েছেন তারা, ফলে সমস্যায় পড়েছেন গ্রামের মানুষ। পাশাপাশি সঞ্জয়বাবু আরো বলেন, তার বিরুদ্ধে নদী ঘাট দখলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। সামনেই দুর্গাপূজা আসছে, মনসা পূজো পার হল সমস্ত পুজোতেই এই ঘাট থেকেই ঠাকুরের জন্য ঘটে জল নিয়ে বাড়ি আসে। এছাড়াও গ্রামে কোন মানুষের মৃত্যু হলে এই ঘাট দিয়েই নদীতে যাওয়া হয় তাকে দাহ করার জন্য। নদীর পাড়ে এভাবে গেট বসিয়ে গ্রামের মানুষের সমস্যা বাড়িয়েছে বালি মাফিয়ারা বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন নদী তো সবার হয়, নদীতে এভাবে গেট বসানো কতটা যুক্তিযুক্ত? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ।