নদীয়ার নাবালিকাকে দুর্গাপুরে আটকে রেখে দেহ ব্যবসা করানোর অভিযোগে গ্রেফতার দম্পতি
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২৩মেঃ
নাবালিকাকে দিয়ে বলপূর্বক দেহ ব্যবসার কাজ করানোর অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করল কাঁকসা পুলিশ। রবিশঙ্কর চুনাকর ও পিঙ্কি চুনাকর নামে ওই দম্পতিকে আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে আনুমানিক ষোলো বছর বয়সী ওই নাবালিকা নদীয়ার তেহট্টের বেতাইয়ের নতুনপাড়ার বাসিন্দা। মেয়েটি সেখানে বিউটি পার্লারে কাজ করতো। ওই নাবালিকার সাথে একটি ছেলের পরিচয় হয় ফোনের মাধ্যমে। বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। বড় শহরে বড় কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই নাবালিকা ওই যুবক নিয়ে যায় বর্ধমান শহরে৷ এরপর সেখানে ওই নাবালিকাকে দিয়ে দেহ ব্যবসার কাজ করানো শুরু হয়। এরপর দিন কুড়ি আগে ওই নাবালিকাকে তুলে দেওয়া হয় চুনাকর দম্পতির হাতে।
দুর্গাপুরের বেনাচিতির অরবিন্দপল্লী এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতো এই চুনাকর দম্পতি। বাড়িতে পরিচারিকার কাজ পাশাপাশি বিভিন্ন হোটেল, বিউটি পার্লারে ওই নাবালিকাকে পাঠানো হতো দেহ ব্যবসার কাজে। গতকাল অর্থাৎ শনিবার ভোরে তিনজন ব্যাক্তি ওই নাবালিকাকে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছিল বর্ধমানের উদ্দ্যেশ্যে। বাঁশকোপা টোলপ্লাজার কাছে ওই নাবালিকা বমি পাচ্ছে অজুহাতে গাড়ি থেকে নামে। এরপরেই সে দৌড়ে পালাতে থাকে। সেই সময় ওই এলাকায় কর্তব্যরত কাঁকসা ট্রাফিক পুলিশের নজরে বিষয়টি আসতেই তারা মেয়েটির পথ আটকায়। এদিকে কাঁকসা থানাতে খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে নাবালিকাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে অবস্থা বেগতিক বুঝে গাড়ি নিয়ে ওই তিন ব্যাক্তি পালিয়ে যায়। কাঁকসা থানার পুলিশের কাছে এরপর ওই নাবালিকা বিষয়টি পুরো খুলে জানায়। নাবালিকার বয়ানের ভিত্তিতে কাঁকসা থানার পুলিশ নদীয়া পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে। এরপর গতকাল দুপুরে নদীয়ার পুলিশ, কাঁকসা থানার পুলিশ ও দুর্গাপুর থানার পুলিশ এক সাথে চুনাকর দম্পতির বাড়িতে হানা দিয়ে অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেফতার করে। ওই চুনাকর দম্পতিকে পুলিশ জেরা করে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে এই ঘটনার পেছনে আরো কোনো বড় চক্র জড়িত রয়েছে কিনা। পাশাপাশি ওই নাবালিকার পরিবারকেও খবর পাঠানো হয়েছে।