করোনার ভয়ে দুর্গাপুরে আচমকাই মিনিবাস পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত, ক্ষুব্ধ মহকুমা শাসক
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ১৯জুলাইঃ
শহর দুর্গাপুরে ক্রমশ বাড়ছে করোনার প্রকোপ। জীবিকার আগে রয়েছে প্রাণ বাঁচানোর তাগিদ আর সেই কারনে আগামীকাল অর্থাৎ ২০জুলাই থেকে মিনিবাস পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলো মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার থেকে প্রান্তিকা থেকে শহরের যে সমস্ত রুটে মিনিবাস চলাচল করে সেই সমস্ত রুটের পরিষেবা আপাতত বন্ধ থাকবে বলে জানালেন এই অ্যাসোসিয়েসনের সম্পাদক কাজল দে।
কাজলবাবু জানান যে, “দুর্গাপুরে যে হারে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমশঃ তাতে আমরা রীতিমতো ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছি। আমাদের যারা কর্মীরা আছেন তাঁরা ভয় পাচ্ছে। তাদের আমরা নিরাপত্তা দেবো কিভাবে? শুধু তাই নয় যারা নিত্যযাত্রী তাঁরা আমাদের লক্ষ্মী। তাদের নিরাপত্তাও আমাদের দেখতে হয়। যেভাবে করোনা ভাইরাস ছড়াছে তাতে একজন কোনো যাত্রীর মধ্যে যদি এই ভাইরাস থাকে তার থেকে অন্যান্য যাত্রীদের মধ্যেও সেই ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই যাত্রী ও কর্মীদের স্বার্থে আমরা এই পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বেনাচিতি, সিটিসেন্টার, সেপকো, সগড়ভাঙ্গা, ডিভিসি মোড় সহ যে সমস্ত রুট দিয়ে বাস চলাচল করে তার মধ্যে বেশ কিছু জায়গায় করোনার সংক্রমন ধরা পড়েছে। তাই সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আপাতত মিনিবাস পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এদিকে আচমকাই শহরে মিনিবাস পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলের কাছে বলে জানান তিনি। মহকুমা শাসক বলেন “মিনিবাস পরিষেবা বন্ধের বিষয়ে আমাকে ওনারা কিছু জানাননি। সরকারের থেকে অনুমতি নিয়ে ওনারা মিনিবাস চালাচ্ছেন অথচ আমাদের না জানিয়ে হঠাৎ করেই যদি এভাবে পরিষেবা বন্ধ করে দেন তাহলে তাঁরা সরকারের দেওয়া সুবিধার অপব্যবহার করছেন। সেক্ষেত্রে আমরা ওদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো। কারন আমাদের না জানিয়ে এভাবে আচমকা তাঁরা পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে পারেনন না।”
তবে এই বিষয়ে মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কাজল দে জানান যে, “আমরা দুর্গাপুরের পরিবহন আধিকারিককে আমি মৌখিকভাবে জানিয়েছি। যেহেতু আজ রবিবার তাই লিখিত জানাতে পারিনি। আগামীকাল ওনাকে আমি লিখিত জানাবো।”