নজরদারির অভাবে রাতের অন্ধকারে গায়েব হচ্ছে দুর্গাপুর শহরের আস্ত টাউনশিপ
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৯জানুয়ারীঃ
সনাতন গড়াইঃ ১৯৬৫ সালে তৎকালীন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী দুর্গাপুরের হিন্দুস্তান ফার্টিলাইজার কারখানার উদ্বোধন করেছিলেন। এরপর সেই কারখানাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল হিন্দুস্তান ফার্টিলাইজার কলোনি। হিন্দুস্তান ফার্টিলাইজারের কর্মী ও আধিকারিকদের বসবাসের জন্য ১২০০ আবাসন তৈরী করা হয়েছিল ওই কলোনীতে।
১৯৯৮ সালে হিন্দুস্তান ফার্টিলাইজার কারখানায় বন্ধ হযয়ে যায় উৎপাদন আর ২০০৩ সালে পুরোপুরি ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সেই সব কর্মীদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়। ১৫০আবাসন বাদে প্রায় ১০৫০টি আবাসনে এখন তৈরি হয়েছে দুষ্কৃতীদের আস্তানা। আবাসনের দরজা, জানালা অনেকদিন আগেই চুরি হয়ে গিয়েছে, বর্তমানে আবাসনের দেওয়াল ভেঙ্গে চুরি হচ্ছে ইঁট। লকডাউনের পর ওই সব আবাসন চত্বর গুলিতে বেড়েছে দুষ্কৃতীদের তান্ডব। প্রায় ৫০০ আবাসন পুরোপুরি চুরি হয়ে গেছে বললেই চলে। সন্ধ্যা নামতেই প্রায় ১০ থেকে ১২টি ট্রাক্টরের মাধ্যমে ইঁট থেকে ঢালাইয়ের রড পাচার হয়ে যাচ্ছে যা চড়া দামে আবার বিক্রি হচ্ছে শহর দুর্গাপুরের একাংশে।
হিন্দুস্থান ফার্টিলাইজারের ইউনিট ইনচার্জ গৌতম বিশ্বাস জানান আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, ফার্টিলাইজার কারখানা কর্তৃপক্ষও বিষয়টির দিকে নজরদারী বাড়িয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক ট্রাক্টর ইঁট পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। কে বা কারা এই ভাবে আবাসন ভেঙ্গে রড আর ঢালাইয়ের রড চুরি করছে তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে হিন্দুস্তান ফার্টিলাইজার কর্তৃপক্ষ বলেও জানান হিন্দুস্তান ফার্টিলাইজারের ইউনিট ইনচার্জ গৌতম বিশ্বাস।