আদালতের নির্দেশে ২.৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেলেন দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবার
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১৪ ডিসেম্বরঃ
মোটর দুর্ঘটনায় নিহত পরিবার কে দুই কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকার ক্ষতি পূরণের আদেশ দিলেন জাতীয় লোক আদালত দুর্গপুর মহকুমা. ১৪ ই ডিসেম্বর ২৪ সারা দেশ জুড়ে জাতীয় লোক আদালত অনুষ্ঠিত হয়।যার মাধ্যমে বহুদিন জমে থাকা বিভিন্ন ধরনের মামলার নিষ্পত্তি হয়। দুর্গাপুর মহকুমা আদালতেও জাতীয় লোক আদালত অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত আদালতে নজীর বিহীন ভবে National Insurance Company LTD বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন যাবত জমে থাকা মামলায় আদালত ২.৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ আদেশ দেন। গত ইংরেজি ১৭/১/১২ তারিখ উড়িষ্যার ধ্যানকানাল জেলার বালিমি থানার অন্তর্গত ৫৫ নং জাতীয় সড়ক কে দুর্গাপুরের বাসিন্দা আশীষ কুমার বড়াল পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মারা যায়।উক্ত ঘটনায় ঘাতক গাড়ির ইন্সুরেনেস কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতি পূরনের মামলা দায়ের করেন আশীষb। বাবুর, স্ত্রী সুস্বেতা বড়াল ও নাবালিকা কন্যা প্রচেতা সহ মা শিখারানী বড়াল পিতা অনন্ত কুমার বড়াল। উক্ত আশীষ বাবু উড়িষ্যার ভুষন স্টিল লিমিটেডে একজন প্রজেক্ট ম্যানেজার পদে আসীন ছিলেন ঘটনার দিন তিনি তাঁর কোম্পানির কাজে অন্যদের সথে কোম্পানির নিজ গাড়ি করে ফিরছিলেন, পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। মামলায় নিষ্পত্তি তে দেরী, অপরদিকে ভুষন স্টিল লিমিটেডে হাত বদল হয়ে অধিগ্রহন করেন টাটা স্টিল লিমিটেড,যার ফলে মামলায় প্রয়োজনীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র অমিল হয়ে পড়ে। কিন্তু মামলা কারীদের নিযুক্ত আইনজীব আইয়ুব আনসারী পারদর্শীতায় উক্ত প্রায়োজনিয় কাগজপত্র জোগাড় করে আদালতে দাখিল করেন,কিন্ত মামলার নিষ্পত্তি হওয়ায় আগের আশীষ বাবুর পিতা বয়স জনিত কারনে মারা যায়। ভবিষ্যতে আরও বেশি সময় লাগার আশঙ্খায় Nationl Insurance Company LTD(মোটর )TP Hab ইনচার্জ দুর্গাপুর মি:অভিনব ও তার টিমের কাছে বার বার দরবার করে উক্ত আশীষ বাবুর পরিবারের কথা বিবেচনা করে উভয় পক্ষের সম্মতি ক্রমে দুর্গাপুর মহকুমা বিচারক মোঃ রফিক আলম সাহেব কে নিয়ে গঠিত জাতীয় লোক আদালতের ব্যঞ্চ দুর্গাপুর এই আদেশ দেন। যাহা আগামী একমাসের মধ্যে আদায় দেবেন অনাদায়ে ৬ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করার আদেশ দেন। উক্ত আশীষ বাবুর পরিবারের হয়ে মামলাকারী আইনজীবী আইয়ুব আনসারী বলেন, একসময় মামলায় প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সংগ্রহ করতে না পারায় খুবই দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়,কিন্তু RTI করে শেষমেশ মামলায় নতুন করে জট খুলে যায়,আর তারই মাঝে আশীষ বাবুর পিতা মারা যায় এবং মাও অনেক অসুস্থ সেকারনে বিলম্ব না করে আদালতের সাহায্য নিয়ে ইন্সুরেন্স কোম্পানীর কাছে দরবার করে লোক আদালতের মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি করে আর্থিক ভবে পাশে থাকতে পেরে ভাল লাগছে, তবে আশীষ বাবুর বাবা বেঁচে থাকলে এই রায় দেখতে পারতেন। অর্থ কোনদিন কোন ক্ষেত্রে মনুষের পরিপূরক হতে পারে না তবে একমাত্র অসহায় সম্বল হীন পরিবারের কিছুটা সহায়ক ভুমিকা পালন করতে পারে।অপরদিকে ন্যাশানাল ইন্সুরেন্স কোম্পানীর টিপি হাব (মোটর) দুর্গাপুর ইনচার্জ মি:অভিনব ও কলকাতা হেড অফিসের পক্ষে বি কে সত্যপ্রকাশ বলেন ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স কোম্পানী সব সময় অসহায় সম্বল হীন পরিবারের পাসে থাকার অঙ্গীকার করে এবং এই রাশি এ পর্যন্ত গোটা ভারত বর্ষ জুড়ে এই প্রথম সব থেকে বেশী পরিমাণ অর্থ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি মোটর দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারকে প্রদান করছে। আজকের লোক আদালত অনুষ্ঠানের পরে আশীষ বাবুর পরিবার কে দুর্গাপুর টিপি হাব গৃহে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রত্যেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।