শুরু হল দুর্গাপুরের কল্পতরু মেলা, প্রথম দিনেই উপচে পড়া ভিড়ে শিকেয় উঠল সরকারী স্বাস্থ্যবিধি
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(কাঁকসা), ১জানুয়ারীঃ
১লা জানুয়ারী কল্পতরু উৎসব উপলক্ষ্যে প্রত্তি বছরের ন্যায় এ বছরও দুর্গাপুরের গ্যামনে কল্পতরু মেলা ময়দানে আয়োজন করা হল “কল্পতরু মেলা”র। তবে বিগত বছর গুলির থেকে এ বছরটা ব্যাতিক্রম আর তার কারন কারুরই অজানা নয়। করোনা নামক ভাইরাসের মরন কামড়ে জর্জরিত মানব সমাজ। তাই মেলার উদ্যোক্তাদের তরফে এই মারনব্যাধির বিষয়টি মাথায় রেখে সরকারী স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এই মেলা হবে বলে মেলার উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। মেলা নিয়ে কিছুদিন আগে একটি বৈঠকও করা হয়েছিল যেখানে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুরের মেয়র সহ বেশ কয়েকজন ব্যাক্তিত্ব। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে দর্শণার্থীদের কথা মাথায় রেখে এ বছরও মেলা হবে, কিন্তু অবশ্যই সরকারী স্বাস্থ্যবিধি মেনে। মাস্ক পড়ে মেলায় প্রবেশ করতে হবে, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। কিন্তু উদ্বোধনের দিনই মেলার উদ্যোক্তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতির লেশমাত্র খুঁজে পাওয়া গেল না। মূল প্রবেশ দ্বারের সামনে যেমন দেখা গেল উপচে পড়া ভিড়, তেমনই ব্যাতিক্রম নয় মেলার ভেতরেও। যদিও মেলা কমিটির পক্ষ থেকে নয়ন মালাকার জানান মেলার প্রতিটি গেটে স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা রয়েছে। দুপুর ২টো থেকে সন্ধ্যে ৬টার নধ্যেই তিন হাজার মাস্ক বিলি করতে হয়েছে তাদের যারা বিনা মাস্কে মেলায় এসেছেন। কিন্তু তারপরেও মেলার ভেতরে অনেককেই বিনা মাস্কে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। যদিও এই সমস্ত বিষয় দেখার জন্য ১২০জন স্বেছাসেবকও রয়েছেন। তারপরেও এই চিত্র।
এদিন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শ্রমমনিত্রী মলয় ঘটক, দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি। মূল মেলায় মোট স্টলের সংখ্যা ২২০টি ও বইনেলায় ৫১টি স্টল করা হয়েছে। এই মেলা আজ শুরু হয়েছে, চলবে ১০ই জানুয়ারী পর্যন্ত্য। তবে ভিড়ের এই চিত্র দেখে দুর্গাপুরের অনেকেই বলছেন সরকারী স্বাস্থ্যবিধি মেনে যে মেলার আয়োজন করার কথা ছিল, তা কি আদপে হয়েছে? স্বাস্থ্যবিধি মেনে আদৌ মেলা করা কি সম্ভব? শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার মতো অত জনপ্রিয় একটি মেলা যদি এ বছর করোনার জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নিতে পারে তাহলে এ বছর সাধারন মানুষের সুস্থতার বিষয়ট মাথায় রেখে কল্পতরু মেলা কি স্থগিত রাখা যেতো না?