মলানদিঘির করোনার বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেষ তিনজন রোগী সুস্থ হয়ে ফিরে গেলেন বাড়ি
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ৩০এপ্রিলঃ
ফের খুশীর খবর পশ্চিম বর্ধমান জেলার বাসিন্দাদের জন্য। কমলা জোন থেকে সবুজ জোনের দিকে এক ধাপ এগিয়ে গেল এই জেলা। মলানদিঘির করোনার বিশিষ্ট হাসপাতালে যে তিনজন রোগী ভর্তি ছিলেন তাঁরা আজ সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন। এদের মধ্যে রয়েছেন দুজন পূর্ব বর্ধমান জেলার বাদুলিয়ার বছর তেতাল্লিশের এক ব্যাক্তি ও তাঁর নয় বছরের মেয়ে ও তৃতীয় জন পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের নরুদ্দিন রোডে বছর উনপঞ্চাশের এক মহিলা বাসিন্দা। প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ১৯ তারিখে পূর্ব বর্ধমান থেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে মলানদিঘির ওই হাসপাতালে ভর্তি হন এক ব্যাক্তি। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন পর পর দুবার ওই ব্যাক্তির লালারসের নমুনা আই সি এম আর এর কলকাতা শাখায় পাঠায়। আর দুবারই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পাশাপাশি এরপর ২৪এপ্রিল ওই ব্যাক্তির নয় বছরের মেয়ে করোনার উপসর্গ নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাঁকে চিকিৎসাধীন রেখে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেই রিপোর্টও নেগেটিভ আসে। অপরদিকে এই জেলারই আসানসোল থেকে ২১এপ্রিল এই মহিলাকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারনে মলানদিঘির এই হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেই মহিলার লালারসের নমুনা পরীক্ষা করার পর হাসপাতাল থেকে জানানো হয় যে ওই মহিলার লালারসে আর কোনো করোনা ভাইরাসের নমুনা পাওয়া যায়নি। স্বভাবতি হাসপাতাল থেকে ওই তিনজন রোগীকে করোনা মুক্ত ঘোষণা করে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়। আজ ওই তিনজন রোগী আজ হাসপাতাল থেকে নিজেদের পরিজনের মাঝে ফিরে গেলেন।
করোনা সংক্রমণ এড়াতে রাজ্য তথা সারা দেশ এখন লকডাউন, আর এই লকডাউনে সকল মানুষজনকে করোনা মোকাবিলা করতে ঘরে থাকার আবেদন করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। তারপরেও রাজ্য সহ দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর এই সংক্রমণের কারনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলাকে তিনটে জোনে ভাগ করে দিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যার মধ্যে পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমলা জোন হিসবে চিহ্নিত হয়েছে। এরপর থেকে জেলা প্রশাসন কমলা জোন থকে কত তাড়াতাড়ি সবুজ জোনে যেতে পারে সেই লক্ষ্যে তৎপর। আর এই সবুজ জোনের লক্ষ্যে এক ধাপ এগিয়ে গেল পশ্চিম বর্ধমান জেলা। আপাতত মলানদিঘির করোনা বিশিষ্ট হাসপাতাল যে তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি ছিলেন তাঁরা আজ সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে নিজেদের বাড়ি ফিরে গেলেন। স্বভাবতইঃ এখন ওই হাসপাতালে নেই আর কোনো করোনায় আক্রান্ত রোগী বলে প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে।