অবরোধ তুলতে বলায় দুর্গাপুরে সপাটে চড় কষালেন বাম নেতা
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২৭ সেপ্টেম্বরঃ
কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে সোমবার সারা দেশ জুড়ে কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা বনধকে সমর্থন করে এই রাজ্যে পথে নামে বামেরা। দুর্গাপুরে এই অবরোধের মাঝে পরে যান অনেক সাধারন মানুষ আর এই অবরোধ তুলে নেওয়ার কথা বলতে গিয়ে সপাটে গাল চড় জুটল এক বাইক আরোহীর। আর যার সৌজন্যে সকলের সামনে এরকম অপদস্ত হতে হল ওই ব্যাক্তিকে তিনি হলে পশ্চিম বর্ধমান জেলার এক দাপুটে সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার।
কেন্দ্রের নয়া কৃষক আইনের বিরোধিতায় কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা বনধকে সমর্থন করে দুর্গাপুরে সাত সকালে পথে নামেন বাম কর্মী সমর্থকরা। দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন বাঁকুড়া মোড়ে অবরোধ কর্মসূচী পালন করছিলেন তারা। স্বভাবতই গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ততম ওই রাস্তাটিতে তৈরী হয় যানজট। আটকে পড়েন যাত্রীরা। আটকে পড়া যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ওই বাইক আরোহীও। তিনি এই অবরোধ তুলে নেওয়ার আবেদন জানান বাম অবরোধকারীদের। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেন না বাম কর্মী সমর্থকরা। এরপরেই দুপক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। বচসার মাঝেই আচমকা পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার ওই বাইক আরোহীর গালে সজোরে একটি থাপ্পড় মারেন। ওই ব্যাক্তিকে দিয়ে ক্ষমাও চাইয়ে নেন অবরোধকারীরা। শুধু তাই নয় নিজের এই কাজের জন্য এতটুকু অনুতপ্ত নন ওই বাম নেতা, উল্টে আমজনতাকে “সহনশীলতা” র পাঠ পড়ান। বলেন ওই ব্যাক্তি নাকি তাদের গালিগালাজ করছিলেন। সাথে তিনি আরো বলেন যে আজকের এই বনধ পূর্ব ঘোষিত। আচমকা এটা ডাকা হয়নি। ফলে যারা অবরোধে আটকে গিয়েছিলেন তাদের আরো বেশি “সহনশীলতা” দেখানো উচিত ছিল। কেন্দ্র সরকারের এই কৃষি আইনের বিরুদ্ধে এতদিন ধরে কৃষকরা যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সেটাকে উচিত সবার সমর্থন করা।
তবে সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল কোকওভেন থানার পুলিশবাহিনী। তাদের হস্তক্ষেপে পরে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়।