বনকর্মী সহ ২২ জনকে জখম করে অবশেষে ধরা পরলো উন্মাদ বাঁদর
আমার কথা, অন্ডাল, ১৮ অক্টোবরঃ
বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও ওই উন্মাদ বাঁদরের উৎপাতে আতঙ্কিত বহুলা ও খান্দরা পঞ্চায়েতের সিদুলি গ্রামের বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার বাঁদরের আক্রমণে বন কর্মী শান্তনু মাঝি সহ জখম হয়েছিলেন ৬ জন। শুক্রবার নতুন করে বাঁদরটির আক্রমণে জখম হন একাধিক বাসিন্দা। দু’দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে কুড়ির বেশি। বাসিন্দা বসন্ত বাউরী বলেন স্থানীয়দের পাশাপাশি এদিন উন্মাদ বাঁদরটির আক্রমণে জখম হন একজন লরি চালকও। ওই চালক অন্য জায়গা থেকে লরি নিয়ে এখানে এসেছিলেন। বাঁদরটির আক্রমণে তার হাত রক্তাক্ত হয়। ভয় পেয়ে তিনি জ্ঞান হারান তাকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার খবর পেয়ে লাউদোহা থেকে উখড়া রেঞ্জের বন কর্মীরা এলাকায় আসেন। গতকাল বাঁদরটি ধরতে তারা ব্যর্থ হন। উল্টে গতকাল বন কর্মী শান্তনু মাঝি আক্রান্ত হন। শুক্রবার বাঁদরটিকে কব্জা করতে লোহার খাঁচা, জাল নিয়ে আসেন ১৪ জন বন কর্মী। স্থানীয় বনকর্মীদের পাশাপাশি কয়েকজন বনকর্মীকে নিয়ে আসা হয় বর্ধমান রেঞ্জ অফিস থেকেও। দলটিকে নেতৃত্ব দেন বনবিভাগের উখরা রেঞ্চের অফিসার বিশ্বজিৎ মাল। দলে ছিলেন সুবোধ দাস নামে একজন শুটারও। সকাল থেকে চেষ্টা করেও শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ব্যর্থ হন বনকর্মীরা। বন বিভাগের শুটার সুবোধ দাস বলেন বাঁদরটিকে লক্ষ্য করে দু’বার ঘুমের ওষুধ দেওয়া গুলি চালানো হয়। কিন্তু দু’বারই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় তা। অবশেষে সন্ধ্যেবেলায় ঘুম পাড়ানি গুলিতে লুটিয়ে পড়ে বাঁদরটি খাঁচা বন্দি করে বাঁদর টিকে সাথে নিয়ে যায় বনকর্মীরা। উখরা রেঞ্জের অফিসার বিশ্বজিৎ মাল বলেন বাঁদর টিকে বন বিভাগে নিয়ে জিতিয়ে চিকিৎসা করা হবে। সুস্থ হওয়ার পর সেটি ছাড়া হবে।