অন্ডালে খনিগর্ভে অগ্নিকান্ডের জন্য কর্তৃপক্ষকে দুষলেন বিধায়ক
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(অন্ডাল), ৩০জুলাইঃ
কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই কেন্দা এরিয়ার বহুলা কোলিয়ারির নর্থজামবাদ ইউনিটে আগুন ছড়িয়েছে বলে শনিবার অভিযোগ করলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা শ্রমিক নেতা হরেরাম সিং।
গত কয়েকদিন ধরে কেন্দা এরিয়ার বহুলা কোলিয়ারির নর্থ জামবাদ ইউনিটের খনির নিচে জ্বলছে আগুন। শুক্রবার তা ভয়াবহ আকার নেয়। সে সময় খনির নিচে কাজ করছিলেন প্রায় ৭০ জন শ্রমিক। আচমকাই আশপাশ থেকে আগুনের শিখা ও ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। আতঙ্ক তৈরি হয় কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে। খবর পাঠানো হয় খনির আধিকারিকদের কাছে। নিরাপত্তার স্বার্থে খনির নিচে কর্মরত ৭০ জন শ্রমিককে দ্রুত উপরে তুলে আনা হয়। সূত্র মারফত জানা গেছে দুটি কোলিয়ারির সুরঙ্গের সংযোগস্থলে পরিত্যক্ত ইউনিটে বেশ কিছুদিন আগে আগুন লাগে। দিন কয়েক আগে আগুন যাতে অন্যত্র না ছড়ায় তাই সেই জায়গাটিতে স্টপিং ( ইঁটের দেওয়াল ) করে দেওয়া হয়। শুক্রবার সেখান থেকেই আগুন ও ধোঁয়া ছড়িয়েছে বলে শ্রমিকদের ধারণা। প্রায় দশ বছর আগে ওই জায়গাটি থেকে কয়লা খনন করা হয়েছে। বর্তমানে খনির নিচে ওই জায়গাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে শনিবার খনির নিচে শ্রমিকদের নামতে দেওয়া হয়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এদিন সংস্থার বিপর্যয় মোকাবেলা দল আসে। দলের এক সদস্য জানান আগুন সক্রিয় থাকার কারণে খনি নিচে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। উপরে বোর হোল করে সেখান থেকে তরল নাইট্রোজেন ঢেলে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসার পর খনির নিচে নেমে পরবর্তী পদক্ষেপ করা সম্ভব হবে। সেই চেষ্টাই চলছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে খনিতে আগুন লাগার জন্য কর্তৃপক্ষই দায়ী বলে জানান জামুরিয়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা শ্রমিক সংগঠন কয়লা খাদান শ্রমিক কংগ্রেসের মহাসচিব হরেরাম সিং। তিনি অভিযোগ করেন কর্তৃপক্ষ উৎপাদন নিয়ে ব্যস্ত, শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে তারা চিন্তিত নন। কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও নিরাপত্তা নিয়ে উদাসীনতার জন্যই এই ঘটনা বলে অভিযোগ করেন হরেরাম বাবু। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন অনেকদিন ধরেই খনির নিচে আগুন জ্বলছে। বিষয়টি জানা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ এতদিন কোন পদক্ষেপ নেয়নি। সময় থাকতে পদক্ষেপ নিলে আগুন এভাবে ছড়াতো না বলে জানান তিনি।