টানা বৃষ্টিতে বেহাল দুর্গাপুর-ফরিদপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির মাটির বাড়ি
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(লাউদোহা), ৩০ জুলাইঃ
কিছুদিন আগেই অন্ডাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লক্ষ্মী টুডুর মাটির বাড়ির বেহাল অবস্থার কথা ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়, যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল জেলার রাজনীতি। শুক্রবার সামনে এলো দুর্গাপুর-ফরিদপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্রীমতি হেমব্রম এর বাড়ির বেহাল ছবি। সভাপতি শ্রীমতি হেমব্রম- এর বাড়ি লাউদোহা ব্লকের প্রতাপপুর পঞ্চায়েতের লবনা পাড়া গ্রামের আদিবাসী পাড়ায়। মাটির বাড়িতে থাকেন সভাপতি শ্রীমতি হেমব্রম তার ছেলে, বৌমা ও নাতি। বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টির কারণে মাটির বাড়িটির দেওয়ালে একাধিক জায়গায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে বাড়িটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। খড়ের চাল থেকে বৃষ্টির জল পড়ছে বাড়ির ভেতর। সভাপতি শ্রীমতি হেমব্রম জানান তার ছেলে দিনমজুরের কাজ করে। সভাপতি হিসাবে তিনি যে সাম্মানিক ভাতা পান তাতে কোনরকমে সংসার চলে। সভাপতি হওয়ার আগে এলাকার অন্যান্য আদিবাসী পরিবারের সদস্যদের সাথে তিনিও শালপাতা বোনার কাজ করতেন। শালপাতা বুনে দুর্গাপুরে বিক্রি করে সামান্য আয়ে হতো। সভাপতি হওয়ার পর সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অন্য কোন সংস্থান নেই ফলে বাড়িটি সংস্কার করা যায়নি অনেকদিন। সভাপতি শ্রীমতি হেমব্রম জানান পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসাবে আমার কাজ এলাকার উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। অন্যের পাশে দাঁড়ানো-ই আমার কাজ। তাই নিজের অভাব বা বেহাল বাড়ির কথা কাউকে কোনদিন বলতে পারিনি। বেহাল বাড়িটির সংস্কার কিভাবে হবে সেটাও বুঝতে পারছিনা। ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় জানান সরকারি প্রকল্পে বাড়ি করার জন্য সাহায্য পেতে গেলে কিছু নিয়ম-কানুন আছে । তালিকায় নাম না থাকলে আবেদন করতে হবে সেটা সময়সাপেক্ষ। সভাপতির পাশে দল রয়েছে। দলের পক্ষ থেকেই সভাপতির বাড়িটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান সুজিত বাবু।