পর্দার আড়ালেই থেকে যান অবহেলিত বিশ্বকর্মারা
আমার কথা, প্রণয় রায়, দুর্গাপুর, ৫ অক্টোবরঃ
চতুরঙ্গ ময়দান জুড়ে গড়ে উঠছে একটু একটু করে গুজরাটের বিশাল স্বামীনাথন মন্দির। এবার বৃষ্টি ভীষণ গত এক মাস ধরে বৃষ্টি মন্ডপ শিল্পীদের কাজে ভীষণ ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে ।
খুব সকালে আমাদের ক্লাবে একটু শরীরচর্চা করতে যাচ্ছিলাম তখনই দেখলাম সেই জায়গায় বেশ কিছু মানুষ ঘুমিয়ে আছে ওদের জাগালাম না। কারণ বুঝলাম ওরা মণ্ডপ শিল্পী। একটু এগিয়ে যেতেই বাঁশ ও ত্রিপোলে তৈরি একটা বড় আস্তানা। সেখানে সাত সকালেই বিশাল কাঠের উনুনে একজন রান্না বসিয়েছে। দেখলাম বড় কড়াইতে আলু ভাজা হচ্ছে। নাম জিজ্ঞাসা করতেই বলল নাম বিশ্বনাথ সাহু। মেদিনীপুরে বাড়ি। রান্নাটাই পেশা। এই যে ডেকোরেটর কোম্পানী যারা এই বিশাল পূজো মণ্ডপটি তৈরি করছে উনি সেই ডেকোরেটরের একজন স্থায়ী রাঁধুনী। আমি বললাম এরপর কি রান্না হবে? উনি বললেন ভাত বসাবো। এত সকালে ভাত কে খাবে? সবাই তো ঘুমাচ্ছে। বিশ্বনাথ জানালেন কি করবে বলুন প্রতিদিন রাতেই প্যান্ডেল মিস্ত্রিরা রাত তিনটে পর্যন্ত কাজ করে। এরপর এসে ভাত খায়। তারপর ঘুমোয়। আবার ঠিক সকাল সাড়ে সাতটার মধ্যে ওদের ঘুম ভেঙ্গে উঠতে হবে কারণ আটটা থেকে আবার মন্ডপ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। আর কাজ চলতে থাকবে গভীর রাত পর্যন্ত। আসলে বৃষ্টি এবার প্যান্ডেলের কাজে বড় বিঘ্ন ঘটিয়েছে। তাই অনেক কাজ বাকি আছে শেষ করতে হবে তৃতীয়ার মধ্যে। কারণ এর পর পুজো প্যান্ডেলের উদ্বোধন হবে। এরই মধ্যে এক এক করে মন্ডপ তৈরীর মিস্ত্রিরা উঠতে শুরু করেছে। রাতে ভালো খুব হয়নি। চোখ দুটো লাল হয়ে আছে। তারই মাঝে অনেকে তাড়াতাড়ি করে সকালের প্রাতঃকৃত্য সারতে বেরিয়ে পড়েছে। এরপর হাত মুখ ধুয়ে সবাই গরম গরম চা খাবে। একটা বড় ফ্লাক্সে চা করাই ছিল। বিশ্বনাথ বাবু আমাকে এক ভাঁড় চা দিয়ে বললেন নিন চা খান। সকালে গরম গরম চা ছাড়া কি মেজাজ ঠিক থাকে। বড় হাড়িতে ভাত বসে গেছে। এরই মধ্যে প্যান্ডেলের দেখভাল করা হেড মিস্ত্রি বিনোদ প্রামানিক গরম চায়ের ভাড় হাতে আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন। বলেন শুনলাম আপনি আমাকে খুঁজছেন? কোথা থেকে এসেছেন? আর কি জানতে চান আপনি? আমি বললাম আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছি। আপনাদের নিয়ে আমি লিখব। এই যে এত বড় পূজো মণ্ডপ আপনারা তৈরি করছেন। দুদিন পর যে মন্ডপ দেখে সবাই বাহবা দেবে। হয়তো সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন পুরস্কার জুটে যাবে এই পুজো মন্ডপের।কিন্তু কেউ জানবে না এই বিশাল মন্ডপটা তো প্রস্তুত করতে দুমাস ধরে আপনারা কি অমানুষিক পরিশ্রম করছেন। উনি হেসে বললেন ঠিকই বলেছেন। গত ১৫ ই আগস্ট পেরিয়ে গেলে এখানে মন্ডপের বাঁশ পড়তে শুরু করল। আমি বললাম আপনি থাকেন কোথায়? উনি বললেন জে সি বোস ঝুপড়িতে। ওনার সঙ্গে কথা বলতে বলতেই আর ও কয়েকজন প্যান্ডেল মিস্ত্রি এসে আমার পাশে এসে দাঁড়াল। দিনের পর দিন রাত জাগার ফলে সবারই চোখ দুটো অনিদ্রা জনিত কারণে লাল হয়ে আছে। সবার হাতেই ধূমায়িত চা এর ভাড়। এরই মধ্যে ভৈরব বাদ্যকর
বলে একটি ছেলে আমাকে বলল আপনি তো এর আগের দিন এসেছিলেন। আমার সঙ্গে কথা বললেন। বললেন আমাদের বৃষ্টির সঙ্গে কথা বলবেন হেড মিস্ত্রির সঙ্গে কথা বলবেন। আমি ওকে দেখে চিনতে পারলাম। বললাম ভাই আমি এসেই কিন্তু তোমাকে খুঁজছিলাম। তুমি তো বলছিলে দুমাস আগে যখন প্রথম প্যান্ডেল তৈরীর জন্য শাবল দিয়ে মাটি খুঁড়তে শুরু করলে তখন থেকেই তুমি এখানে আছো। ও বলল হ্যাঁ আমরা প্রথমে 14 জন মিলে এই প্যান্ডেলের কাজ শুরু করলাম। আমি বললাম তোমার বাড়ি কোথায়। ও বলল বীরভূমের রসা গ্রামে।
বললাম বাড়িতে তোমার কে কে আছে ? ভৈরব বলল আমার চার মেয়ে ও আমার পরিবার। একটা মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বাকিরা ছোট।০ স্কুলে পড়ছে। আমি বললাম তুমি কবে বাড়ি যাবে ও বলল আমরা ষষ্ঠীর দিন বাড়ি চলে যাব। আবার আসবো দশমীর পর প্যান্ডেলের বাঁশ
খুলতে।
ওদের মধ্যে একজন বলল আমার নাম জগবন্ধু বাউরী। আমিও বীরভূম থেকে এসেছি। আমি বললাম তোমরা কি শুধু প্যান্ডেলের কাজই কর না যখন প্যান্ডেলের কাজ থাকেনা তখন চাষবাস বা অন্য কিছু কর ওদের মধ্যে বেশিরভাগই সমস্বরে বলল না আমরা শুধু প্যান্ডেল তৈরির কাজ করি। এই মালিকের কাছে আমরা অনেকদিন ধরে কাজ করছি। হেড মিস্ত্রি বলল আমার ১৬ বছর হয়ে গেছে। আরো সবাই বলল আমরা সবাই বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ডেকোরেটর কোম্পানিতে কাজ করি। দুর্গাপূজার শেষ হলে এই প্যান্ডেল চলে যাবে মেদিনীপুর। সেখানে আমরা কালী পূজার প্যান্ডেল করব। এরপর জগদ্ধাত্রী পুজো ছাড়াও প্রায় সারা বছরই আমরা ডেকোরেটরের কাজ করি। পূজোষ পুজোর সময় গুলো বাদ দিয়ে অন্য সময় আমরা বিয়ে বাড়ির প্যান্ডেলও করি। আমি বললাম তখন তোমরা থাকো কোথায় ওরা বলল কেন মালিকের বিরাট গোডাউনে আমরা থাকি। একজন একটা বিড়ি ধরিয়ে একমুখ ধোঁয়া ছেড়ে বলল আমরা এই কাজ ছাড়া আর অন্য কোন কাজ করতে পারিনা আমাদের ইচ্ছে করেনা। আমি বললাম তোমরা কি মাস মাইনা পাও?
হেড মিস্ত্রি বলল না আমরা সবাই চুক্তিভিত্তিক কর্মী। যখন কাজ হয় তখন প্রতিদিনের চুক্তিতে আমরা টাকা পাই। কারো মাস গেলে কুড়ি থেকে পঁচিশ বা কারো আরো বেশি।
ভৈরব বলল আমারতো দুমাস হয়ে গেল কাজ টা শুরু করেছি। আর আমি একজন পুরনো কর্মী। আমি হাজার পঞ্চাশেক হয়তো পাবো। ওর চোখ মুখ আনন্দে চকচক করছিল। বলল ষষ্ঠীর দিন বাড়ি গিয়ে আমার মেয়েদের পুজোর জামা কাপড় কিনে দেবো পুজোর কটা দিন আনন্দ করব। এরপর তো আবার ফিরে এসে এখানকার প্যান্ডেল খুলে আমরা মেদিনীপুর চলে যাব। গোবর্ধন বাদ্যকর ও বীরভূমের ছেলে। ও বলল আমাদের এ কাজটিই ভালো লাগে যদিও এই কাজে পরিশ্রম আছে তবুও যখন মানুষ আমাদের তৈরি প্যান্ডেল দেখে বলে কি সুন্দর প্যান্ডেল তৈরি হয়েছে। তখন পুরো আনন্দ হয় বাবু। মনে হয় আমাদের এত পরিশ্রম মাটি হয়নি।
আমি হেডমিস্ত্রিকে জিজ্ঞেস করলাম পুজোর কর্মকর্তাদের চাহিদামত আপনারা কি করে এত সুন্দর প্যান্ডেল তৈরি করেন। বিনোদ প্রামাণিক বলেন পুজোর কর্মকর্তাদের দেওয়া কোন মন্দির বা কোন থিম এর ছবি দেখেই প্যান্ডেল তৈরীর পরিকল্পনা মনে মনে এঁকে নিই। এরপর কত বড় প্যান্ডেল হবে এবং কিসের উপর ভিত্তি করে প্যান্ডেল হবে
ফিতে দিয়ে তার মাপ যোগ করে মিস্ত্রিদের সেভাবে গর্ত খুঁড়তে বলি বাঁশ পোঁতা হয়। প্রথম একটি মাস বাঁশের কাঠামো তৈরি করতেই সময় চলে যায় অসংখ্য বাঁশ দড়ি, কাঠ পেরেক সবকিছু লাগে। আর আমরা এভাবেই একটু একটু করে একটা বিরাট বাঁশের কাঠামো দাঁড় করাই। । এরপর যে মন্দির বা যে থিমের উপর মন্ডপ হবে তার উপকরণ ডেকোরেটর আমাদের সরবরাহ করে। ডেকরেটরের আর্টিস্ট বুঝিয়ে দেয় কিভাবে কাজ করতে হবে। এখানে যেমন গুজরাটের নীলকন্ঠ ধামের স্বামী নারায়ন মন্দিরের আদলে মন্ডপ তৈরী হচ্ছে। বাঁশের কাঠামোতেরীআশেষ হলে ত্রিপল দিয়ে মন্ডপের ছাদ তৈরী হয়। এরপর কাপড় দিয়ে সেই বিশাল কাঠামোকে মন্দিরের রূপ দেওয়া হয়। এরপর প্লাই, বিভিন্ন ফাইবারের মূর্তি ইত্যাদি দিয়ে
পুজো মন্ডপ তৈরী হয়। অন্য আমি বললাম চোদ্দজন মিস্ত্রি দিয়ে তো কাজ শুরু হয়েছিল এখন কতজন দাঁড়িয়েছে ও বলল আজকে আর ও আঠারোজন জন মিস্ত্রি এসেছে। আরও আসবে।দিন রাত এক করে আমরা সবাই কাজ করছি। এই বলে হেড মিস্ত্রি প্যান্ডেলের দিকে চলে গেল। আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম মেদিনীপুরের শম্ভু বেরা, বোলপুরের দিলীপ থান্ডারের সঙ্গে। ওরা বলছিল আমাদের নিয়ে লিখবেন? আমাদের নিয়ে তো কেউ কিছু লেখে না।
আমি বললাম এই যে আপনারা এত কষ্ট করে এত পরিশ্রম করে এত বিশাল একটি প্যান্ডেল নির্মাণ করছেন এরপর আপনারা এখান থেকে চলে যাবেন। সবাই আপনাদের তৈরি এই প্যান্ডেল মুগ্ধ হয়ে দেখবে। হয়তো পুজো কমিটির অনেক পুরস্কারও জুটে যাবে। কিন্তু আপনাদের কথা কেউ জানবেও না কেউ মনেও রাখবে না। তাই আপনাদের নিয়েই আমার লিখতে ইচ্ছে হলো। ওদের মধ্যে একজন আমাকে এক ভাঁড় চা এগিয়ে দিল। বলল চা খান। বললাম একবার তো খেলাম। বলল আরেক ভাঁড় খান। মুড়ি আলুভাজা খাবেন? আমি বললাম না খাবনা। বলে চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দিয়ে কথা বলতে শুরু করলাম।
দিলীপ থান্ডার বললো আমরা এভাবেই দিনের পর দিন কাজ করি যত পূজো এগিয়ে আসে তত আমাদের পরিশ্রম বেড়ে যায় সকাল আটটা থেকে শুরু হবে আমাদের কাজ চলতে থাকবে সারাদিন সেই রাত তিনটে পর্যন্ত এর মাঝে এরই মাঝে টিফিন দুপুরের ভাত রাতের খাবার। মেদিনীপুরে শম্ভু বেরা বলল এখন তো রাতের খাবার খেতে খেতে সেই রাত তিনটে বেজে যাচ্ছে।
ওরা এক এক করে কেউ প্রাতঃকৃত্য সারতে, কেউ বা এই সাত সকালেই কলের জলে জলে একটু স্নান করে নিল। আর কেউবা হাত মুখ ধুয়ে রাঁধুনীর কাছে এসে বলল খেতে দাও।
বুঝলাম এবার ওদের সারাদিনের কাজ শুরু হয়ে যাবে। ঝিরঝির করে একটু একটু বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মাথায় গামছা বেঁধে এরই মধ্যে সবাই প্যান্ডেলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। সময় মত প্যান্ডেলের কাজ যে শেষ করতে হবে। শুনেছে মন্ত্রী মশাই থেকে শুরু করে আরো বড় বড় মানুষ এসে এই মন্ডপের উদ্বোধন করবে।
আমি বিশ্বনাথ সাহুকে বললাম সারাদিন ধরে কি কি রান্না করেন? উনি বললেন ওরা এখন আলুভাজা দিয়ে কেউ ভাত বা কেউ মুড়ি দিয়ে টিফিন সেরে কাজ শুরু করবে। আমি বাজার যাব মাছ, সবজি কিনে আনব। দুপুরে ডাল, ভাজি, মাছের ঝোল, রাতে মাছ বা কোনদিন মাংস। মালিক খাওয়ার ব্যবস্থা ভালই করে। ভালো করে না খেলে ওরা দিন রাত এক করে খাটবে কি করে? আমি বললাম খাওয়ার খরচ কি মিস্ত্রিদের দিতে হয়? বিশ্বনাথ জানান না খাবার টাকা মালিকই দেয়। এরপর বলল আর তো দু তিন দিন।ষষ্টী র দিন বাড়ি চলে যাব। কত দিন ঘরের মানুষগুলিকে দেখি না। ওর পাশেই দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিল পূর্ব মেদিনীপুরের মিস্ত্রি সুব্রত মাইতি। বলল ঠিকই বলেছে মিস্ত্রি। কতদিন বাড়ির বাইরে। এবার এখানে মালিকের দুটো প্যান্ডেলে কাজ করলাম। বাড়ি গিয়ে তো লক্ষ্মী পুজো পর্যন্ত থাকব। তারপর আবার প্যান্ডেল খুলতে আসবো। এরপর আবার কালী পুজের প্যান্ডেল তৈরী করতে যাবো।
এভাবেই চলতে থাকে ওদের নিরন্তর নতুন নতুন মন্ডপ গড়ার পালা। সবাই মুগ্ধ হয়ে দেখে ওদের হাতের সুক্ষ কাজ। পুরস্কার জোটে পুজো কমিটিগুলির আর ওরা অপেক্ষায় থাকে পরবর্তী প্যান্ডেল তৈরীর ডাকের অপেক্ষায়। কে পুরস্কার পেল বা কাদের মন্ডপের ছবি টিভিতে দেখালো তা নিয়ে ওদের কোন হেলদোল নেই। কারণ যত কাজ তত ওদের আয়। ওদের সংসারের পরিবার ও পরিজনদের মুখে হাসি ফোটাতে বছরভর ওরা পরিশ্রম করে চলেছে। আমি বললাম মন্ডপ তৈরী করতে গিয়ে কারো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তার জন্য কোন ইনসুরেন্স আছে বা মালিক কি আপনাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়? ও অবাক হয়ে বলল ইনসুরেন্স সে টা কি? কোন কিছুই নেই। এরপর হেসে মজা করে ওদের একজন বললো সবই গোবিন্দ ভরসা করে আমরা জীবন বাজি রেখে কাজ করি।
ফিরে আসছিলাম।আলাপ হল চন্দননগরের আলো শিল্পীদের সঙ্গে। ওরা সমস্বরে বলল আমরা মন্ডপে মন্ডপে আলোর রোশনাই এ সব কিছু আলোকিত করি। কিন্তু আমাদের কথা কজনে জানে। আমি মাথা নাড়লাম।
চতুরঙ্গর আলোকিত বিশাল মন্ডপের দিকে তাকিয়ে দেখলাম মন্ডপের সাৃনে এক কল্পনার নর্মদা নদীর একপাশে বেনারস থেকে আসা একদল শিল্পী বেনারসের গঙ্গারতির মত আরতি করে চলেছে। আর স্বামী নারায়ন মন্দিরের আঙ্গিকে তৈরী মন্ডপে কত আলো কত মানুষ। মন্ডপের কাজ তখনও অসমাপ্ত। এরই মধ্যে কাজ করে চলেছে কিছু মন্ডপ মিস্ত্রি। মন্ডপের ভেতরে তখন কুমারটুলি থেকে আনা দুর্গা প্রতিমার আবরণ উন্মোচিত হচ্ছে।