দুর্গাপুরে পরিবহন মন্ত্রীর বৈঠকে এলো না টোটোর নয়া আইন প্রসঙ্গ, ধোঁয়াসায় রইলেন চালকরা
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১০ জুলাইঃ
পাঁচটি জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে দুর্গাপুরে মহকুমা শাসকের দপ্তরে বৈঠক করলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাসিশ চক্রবর্তী। এই বৈঠকে একদিকে যেমন গাড়ীর রেজিস্ট্রেশন, পারমিট, ট্যাক্স সংগ্রহ থেকে বৈধ কাগজপত্র খতিয়ে দেখা, ওভারলোডিং বন্ধ করা ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়, তেমনি সাধারন মানুষের পথ নিরাপতার বিষয়টির উপরেও জোর দেওয়া হয়। কিন্তু এদিন পরিবহন মন্ত্রীর মুখে শোনা গেল না টোটো সংক্রান্ত কোনো কথা।
আগামী ১ আগস্ট থেকে রাজ্য জুড়ে টোটোর ওপর আনা হচ্ছে নয়া নিয়ম। গোটা রাজ্য জুড়ে অবৈধ টোটো অটোর বাড়বাড়ন্ত। নিয়ে দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ মেনে অবৈধ টোটো চলাচলে কড়াকড়ি করা হচ্ছে। নিয়মে বলা হয়েছে বৈধ টোটো চলাচল করতে পারবে জেলায়। টোটো, চালকদের নিজেদের নামে থাকতে হবে, থাকতে হবে টোটো চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স। শুধু তাই নয় সরকারী রুটের বাইরে টোটো চালালে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ২০২২ এর আগে যে সকল টোটো রাস্তায় নেমেছে সেগুলি শহরাঞ্চলে চলতে পারবে না। কেবলমাত্র গ্রাম্য এলাকায় এগুলি চলাচল করতে পারবে। সারা রাজ্যে ১২৬টি যে বৈধ টোটো বিক্রয় সংস্থা রয়েছে সেই সব সংস্থা থেকে ২০২১ এর পর যে সব টোটো বিক্রি হয়েছে সেই সব টোটো বিক্রেতাদের বৈধ লাইসেন্স ও বীমা করে দিতে বাধ্য থাকবে।
এদিকে, সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ আনছেন টোটোচালকরা। তাঁরা বলছেন, ঋণ করে তাঁরা টোটো কিনেছেন। সেই টোটো চালাতে না পারলে ঋণ শোধ করবেন কেমন করে? এছাড়াও যে সকল শোরুম থেকে তাঁরা এই টোট কিনেছেন সেই শোরুমের মালিকরা তাঁদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে এগুলির রেজিস্ট্রেশন করা আছে, তাই নিশ্চিন্তে সেগুলি রাস্তায় চালাতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সেই সব টোটোগুলির কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই। ফলে এখন তাঁরা পড়েছেন বিপদে। এখন তাঁরা কি করবেন তাই নিয়ে মাথায় হাত। এদিকে, এদিন এই জেলাতেই বৈঠক করে গেলেন পরিবহন মন্ত্রী। আশায় ছিলেন টোটো চালকরা। কিন্তু তাঁরা মন্ত্রীর কাছ থেকে সেভাবে পেলেন না কোনো বার্তা। ফলে নয়া আইন নিয়ে ধোঁইয়াসায় রয়ে গেলেন টোটো চালকরা।