প্রধানের নামে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে পড়ল পোস্টার
আমার কথা, অন্ডাল, ৭ জানুয়ারি:
পঞ্চায়েত প্রধান তথা যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থ দেওয়াসীর নামে পড়ল পোষ্টার। তোলাবাজি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে পোস্টার এর লেখাতে। ভিত্তিহীন অভিযোগ, বিরোধীদের কাজ বলে দাবি প্রধানের।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ প্রায় প্রকাশ্যে আসে। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়ই নেতাকর্মীদের সততার সাথে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও অভিযোগের শেষ নেই। মদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা যুব তৃনমূলের জেলা সভাপতি পার্থ দেওয়াসীর নামেও এবার উঠল একই অভিযোগ। সম্প্রতি মদনপুর গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ির দেওয়াল ও ল্যাম্প পোস্টে তার বিরুদ্ধে তোলাবাজি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ লেখা পোস্টার দেখা গেছে। কে বা কারা এই পোস্টার ছড়িয়েছে তা অবশ্য পোস্টারে উল্লেখ নেই। সাদা কাগজে কালো কালি দিয়ে লেখা পোস্টারে অভিযোগ তোলা হয়েছে ১০-১২ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বিপুল সম্পতির মালিক হয়েছেন পার্থ বাবু। আগে তিনি কাঁচা বাড়িতে থাকতেন, সাইকেলে করে এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন। এখন ৮০ লক্ষ টাকার বাড়িতে বসবাস করেন। দুটি দামি চারচাকা গাড়ির মালিক তিনি। পোস্টারে দাবি করা হয়েছে মদনপুরে বালিঘাটে অবৈধভাবে বালি তুলে পাচার হয়। সেখান থেকে মাসে মোটা মাসোহারা পার্থবাবুর। এছাড়াও টপলাইন চিতাডাঙ্গা এলাকায় ছোট কলকারখানা ফ্যাক্টরি থেকে তোলার টাকা তার কাছে আসে। কয়েকটি এলাকাতে পার্থ বাবুর নামে জমি রয়েছে। বহু মূল্যের এই জমির মালিক তিনি কিভাবে হলেন সে নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে পোস্টারে। আরও দাবি করা হয়েছে পার্থবাবু মদনপুর পঞ্চায়েতের প্রধান, আবার বকলমে তিনি ঠিকাদারিও করেন।
পোস্টার ও দুর্নীতি তোলাবাজির অভিযোগ প্রসঙ্গে পার্থ বাবু বলেন এইসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। দল আমাকে সংগঠনের যুব সভাপতি করেছে, আর মানুষের ভোটে জিতে আমি পঞ্চায়েত প্রধান হয়েছি। এলাকার উন্নয়ন, মানুষকে পরিষেবা দেওয়া আমার কাজ। সততার সাথে আমি সেটাই করে চলেছি। পোস্টারে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে। এটা বিরোধীদের কাজ বলে দাবি করেন পার্থবাবু। দলের অন্ডাল ব্লক সভাপতি কালোবরণ মন্ডল পার্থ বাবুর পাশে দাঁড়িয়ে বলেন ঈর্ষার কারণে রাতের অন্ধকারে কেউবা কারা এই পোস্টার দিয়েছে। এটা বিরোধীদের কাজও হতে পারে বলে জানান তিনি। এই পোস্টার কাণ্ড নিয়ে জেলা বিজেপির নেতা ছোটন চক্রবর্তী বলেন তৃণমূল আর দুর্নীতি সমর্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগণের সেবার কথা বলে আদতে তৃণমূল নেতারা নিজেদের আখের গোছাচ্ছে। যে অভিযোগ পোস্টারে করা হয়েছে সেটা নিয়ে অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিত বলে জানান ছোটন বাবু।