অন্ডাল বিমানবন্দরের আবাসন এলাকায় ফের থমকে গেল রাস্তা তৈরির কাজ
আমার কথা, অন্ডাল, ২৮ ডিসেম্বরঃ
বিএপিএলের নতুন রাস্তা নির্মাণ নিয়ে ফের দেখা দিল জটিলতা। শনিবার কর্মীরা রাস্তা নির্মাণের কাজ করতে এলে সেখানে জড়ো হয় মালিকপক্ষ ও স্থানীয়রা । উত্তেজনা বাড়ায় ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। জমির মালিকদের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরের একাংশে রয়েছে আবাসন এলাকা। ইতিমধ্যে সেখানে গড়ে উঠেছে প্রচুর আবাসন। খনি সংস্থা ইসিএলের ধস প্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দেওয়ার কথা রয়েছে সেখানে। ওই আবাসন এলাকায় আসা যাওয়ার জন্য সম্প্রতি রাজ্য সরকারের এক হাউসিং ডেভলপার সংস্থাকে বরাত দিয়েছে একটি ১০ ফুটের ঢালাই রাস্তা তৈরি করার। আবাসন এলাকা থেকে রাস্তাটি গিয়ে মিশবে উখড়া অন্ডাল রোডের দক্ষিণখন্ড অংশে। রাস্তাটি তৈরির সিংহভাগ কাজ ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। কিন্তু রাস্তাটি সম্পূর্ণ করার কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সংযোগস্থল উখড়া অন্ডাল রাস্তার দক্ষিণখন্ড অংশে থাকা ব্যক্তি মালিকানাধীন দশ বিঘা জমি। মালিকের আপত্তিতে এই জমিটি এখনো অধিকরণ করতে পারেনি বিএপিএল সংস্থা। গত ১০ই ডিসেম্বর রাস্তার ওই অংশে সংস্থার কর্মীরা কাজ করতে এলে মালিকপক্ষ তাতে বাধা দেয়। সেদিন কাজ বন্ধ রেখে ফিরে যাই সংস্থার কর্মীরা। কয়েকদিন আগে ওই জমির মালিক জমির সীমানা অংশে মাটি কেটে বড় খাল তৈরি করে। শনিবার সংস্থার কর্মীরা ফের রাস্তার বাকি অংশের কাজ করতে এলে জমির মালিকের সন্দেহ হয় তাদের জমির উপর জোর করে রাস্তা তৈরি করা হতে পারে বলে। খবর পেয়ে জমির মালিকরা ছাড়াও স্থানীয় বেশ কিছু বাসিন্দা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কায় ঘটনাস্থলে আসে বিরাট বড় পুলিশ বাহিনী। শেষ পর্যন্ত ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির বাইরের অংশে রাস্তার নির্মাণের কাজ করেন কর্মীরা। জমির উপর রাস্তা তৈরির চেষ্টা করে বরাত পাওয়া ওই ডেভলপার সংস্থার কর্মীরা।
দক্ষিণখন্ডের বাসিন্দা বিজন পাল বলেন রাস্তার পাশের ১০ বিঘা জমি মালিক তারা। এর শরিক রয়েছে তাদের চারটি পরিবার । তিনি বলেন ২০০৮ সালে বিমানবন্দরের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। কাঠা প্রতি জমির বিনিময়ে মালিকদের দেওয়া হয়েছিল মাত্র সাড়ে ১২ হাজার টাকা। অথচ জমি ডেভলপ করে বিএপিএল সংস্থা এখন সেই জমি বিক্রি করছে ৮ লক্ষ টাকা কাঠা প্রতি দরে। এই সামান্য টাকায় আমরা জমি দিতে রাজি নই। জমির বিনিময়ে বিমানবন্দর এলাকার ভিতর তাদের সমপরিমাণ জমি দিলে তবেই জমি দিব বলে জানান তিনি। আগামী সোমবার জমির মালিকদের সাথে কথা বলে বিষয়টির সমাধান করার হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।