পরিষেবা বন্ধ অন্ডাল স্বাস্থ্যকেন্দ্রের, হয়রানির শিকার করোনা রোগী সহ অন্যান্যরা
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(অন্ডাল), ১মেঃ
সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বন্ধ রয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। আগাম ঘোষণা না থাকায় সমস্যায় পড়েছে রোগীরা। ঘটনাটি অন্ডাল ব্লকের খাঁন্দরা প্রাথমিক ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। সাধারণ রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি করোনা ভ্যাকসিন ও করোনা রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষার জন্য সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল বাসিন্দারা। এই অবস্থায় শনিবার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিষেবা না পেয়ে হয়রানির শিকার হন অনেকে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর রোগীদের জানানো হয় শনি ও রবিবার স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। কার নির্দেশে ও কি কারনে পরিষেবা বন্ধ সেই বিষয়ে অবশ্য সদুত্তর দিতে পারেনি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আধিকারিকেরা। শনি ও রবিবার যে পরিষেবা বন্ধ থাকবে এই বিষয়ে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রোগীদের। এদিন অনেক রোগী বিরক্ত হয়ে ফিরে যান দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর। কেউ এসেছিলেন ভ্যাকসিনের প্রথম অথবা দ্বিতীয় ডোজ নিতে। কেউ টেস্ট করাতে কেউবা এসেছিলেন সাধারণ রোগের চিকিৎসার জন্য।
সিঁদুলীর বাসিন্দা তনুশ্রী বারুই এর অভিযোগ আজ থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স তাদের করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হবে বলে শুনেছিলাম। তাই ছেলেকে নিয়ে এসেছিলাম। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর জানতে পারলাম ৩ তারিখ থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আগে জানলে এভাবে হয়রানি হতে হতো না বলে অভিযোগ করেন তনুশ্রী দেবী।
একই অভিযোগ করেন ধান্ডাডিহি গ্রামের বাসিন্দা তাপস পাল। তিনি জানান আজ আমার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ ছিল। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোন আধিকারিক না থাকায় জানতে পারলাম না দ্বিতীয় ডোজ কবে পাবো, বলে জানান তাপস পাল।
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য সঞ্জয় সিনহা ক্ষোভের সাথে বলেন অতিমারি সময়ে বিনা কারণে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবা বন্ধ রাখা অপরাধ ও অমানবিক কাজ।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটি সূত্র মারফত জানা যায় রাজ্যে ভোট গননা হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে গণনায় যারা উপস্থিত থাকবেন তাদের করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে কমিশন। আজ অর্থাৎ শনিবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাদের করোনা পরীক্ষা করা হবে। সেই কারণে অন্য সব পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। যদিও এই বিষয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কোন অধিকার সরকারিভাবে কিছু জানায়নি।