পাণ্ডবেশ্বরের অজয়ের ঘাটের সংক্রান্তি মেলার সাথে জড়িয়ে আছে মহাভারতের গল্প
আমার কথা, পান্ডবেশ্বর, ১৪ জানুয়ারী:
পান্ডবেশ্বরের অজয় নদের পাড়ে পঞ্চপান্ডব মন্দির চত্বরে প্রতিবছর সংক্রান্তিতে বসে পৌষ মেলা। এই মেলার সাথে জড়িয়ে আছে মহাভারত ও পঞ্চপান্ডবের কথা।
পাণ্ডবেশ্বরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে অজয় নদ। নদের পাড়ে বাঁ হাতের রাস্তা ধরে কিছুটা গেলেই সেখানে রয়েছে পঞ্চপান্ডব মন্দির। প্রতিবছর পৌষ সংক্রান্তিতে এই মন্দিরকে ঘিরে বসে পৌষ মেলা। মঙ্গলবার থেকে শুরু হল তিনদিনের মেলা। মেলার উদ্বোধন করেন স্থানীয় বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। মেলা চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। এই মেলার সাথে মহাভারতের পঞ্চপান্ডবের অজ্ঞাতবাস পর্বের ঘটনা জড়িয়ে আছে। কথিত আছে অজ্ঞতাবাসের সময় বিভিন্ন জায়গা ঘুরে পঞ্চপান্ডব একসময় এসে পৌঁছায় পাণ্ডবেশ্বর এর অজয় নদের তীরে। নদের ধারে ঘন জঙ্গলে পর্নকুটির তৈরি করে বেশ কিছুদিন তারা সেখানে বসবাস করেন। ইতিহাসবিদদের দাবি পঞ্চপান্ডবরা সেখানে দেবতাদের উদ্দেশ্যে পূজা করতেন। বহুকাল পড়ে সেখানে একটি ঢিপি (উঁচু স্থল) আবিষ্কৃত হয়। সেটাই পঞ্চপান্ডবদের পূজা স্থল বলে কথিত আছে। সেই ঢিপিকে ঘিরে পরবর্তীকালে তৈরি হয়েছে মন্দির। জায়গাটির নামকরণ হয়েছে পঞ্চপান্ডব মন্দির বলে। মন্দিরে অন্যান্য দেব দেবীদের পাশাপাশি পঞ্চপান্ডবের মূর্তিও রয়েছে। বহু বছর আগে সেই মন্দিরকে ঘিরেই প্রতিবছর সংক্রান্তিতে বসে পৌষ মেলা। মঙ্গলবার সংক্রান্তির ভোরে মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া অজয় নদের জলে পূণ্য স্নান করেন অসংখ্য ভক্ত।
বর্তমানে এই মেলা পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে, স্থানীয় রামনগর পল্লী উন্নয়ন সমিতি। সমিতির কর্মকর্তা নন্দদুলাল গাঙ্গুলী বলেন পঞ্চপান্ডবের স্মৃতি বিজড়িত এই মেলা তাই প্রতি বছর কয়েক লক্ষ মানুষ মেলাতে ভিড় জমান। স্থানীয় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি যমুনা ধীবর বলেন পুণ্যার্থীদের স্বাচ্ছন্দের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে মেলাতে। শৌচাগার, পানীয় জলের পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়টিও সুনিশ্চিত করা হয়েছে। স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনা এড়াতে পুণ্যার্থীদের স্নান স্থলের নদী ঘাটে স্পিডবোট ও ডুবুরির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।