পান্ডবেশ্বরে করোনায় আক্রান্ত তিনজন সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ৯জুনঃ
একদিকে যখন রাজ্যে ক্রমশ বেড়েই চলেছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা, ঠিক সেই আবহে খনি অঞ্চলের তিনজন করোনায় আক্রান্ত রোগী সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে ফিরে গেলেন নিজেদের পরিবারের কাছে। ফলে বর্তমানে পান্ডবেশ্বরে এখনও করোনা আবহের মাঝেই স্বস্তির সিঃশ্বাস ফেলছেন মানুষজন।
প্রসঙ্গতঃ গত বুধবার অন্ডালের পরাশকোল ডাঙ্গা পাড়া ও পাণ্ডবেশ্বর এর গোঁসাই পাড়ায় বাসিন্দা তিনজন করোনায় আক্রান্তের খবর পাওইয়া যায়। পড়াশকোলের বাসিন্দা আক্রান্ত যুবক মুম্বাইয়ের দাদর এলাকায় কাজের সূত্রে থাকতেন। গত ২৭ শে মে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে করে তিনি বাড়ি ফেরেন। প্রশাসনের নির্দেশে তিনি বাড়িতে নিভৃতবাসে(হোম কয়েরেন্টাইন) ছিলেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার লালা রস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষায় ফল পজেটিভ আসায় বুধবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই যুবককে মলানদিঘির করোনা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে পাণ্ডবেশ্বর এর গোঁসাই পাড়ার আক্রান্ত যুবক কর্মসূত্রে চেন্নাইয়ে থাকতেন। ২০ মে তিনি পাণ্ডবেশ্বরে ফিরে আসেন। তারও লালা রসের পরীক্ষায় পজেটিভ আসে। তাকেও বুধবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে মলানদিঘির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাণ্ডবেশ্বর ডিভিসি পাড়ার মামারবাড়ি থেকে বছর পনেরোর এক কিশোরকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঐ কিশোর মুম্বাইয়ে থাকত। কয়েকদিন আগে সে পান্ডেবেশ্বর ডিভিসি পাড়ায় মামার বাড়িতে এসেছে বলে প্রতিবেশিরা জানান। একই দিনে একাধীক আক্রান্তের সন্ধান মেলায় খনি এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। এলাকায় সংক্রমণ ও ভীতি যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সে ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াও হয়েছিল। এরপর গত সাতদিন ধরে মলানদিঘির করোনা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছি ওই তিন করোনা আক্রান্তের। অবশেষে সাতদিনের মধ্যেই চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন কিশোর সহ তিনজন। তাদের ফুল দিয়ে স্বাগতও জানালেন এলাকাবাসীরা। স্বভাবতই এখন খুশীর হাওয়া খনি অঞ্চলে।