স্থানীয় বনাম বহিরাগত, বিবাদে বন্ধ হয়ে গেল পুজো কমিটির সদস্যদের ভ্যাকসিন
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(অন্ডাল), ২৩ সেপ্টেম্বরঃ
বহিরাগত ও স্থানীয়দের বিবাদের কারণে উত্তেজনা ছড়াল ভ্যাকসিন কেন্দ্রে । পুলিশ ও প্রধান, উপপ্রধান এর মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে উখড়ার আনন্দমোড় সংলগ্ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
খবর সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার আনন্দমোড় সংলগ্ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা ছিল পূজা কমিটির সদস্যদের। সকাল থেকেই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে ভ্যাকসিনের জন্য বিভিন্ন পূজা কমিটির সদস্যরা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বেলা ১১ টা নাগাদ কারা ভ্যাকসিন পাবে তা নিয়ে স্থানীয়দের সাথে পুজো কমিটির সদস্যদের বিবাদ বাধে। বহিরাগত বনাম স্থানীয়দের বিবাদের কারণে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উখড়া ফাঁড়ির পুলিশ ও পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান সহ অন্যরা। স্থগিত হয়ে যায় পুজো কমিটির সদস্যদের ভ্যাকসিন দেওয়া। পরিবর্তে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।
পুজো কমিটির পক্ষে অমিয় বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বপন কুন্ডু-রা জানান রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে পুজো কমিটির সদস্যদের ভ্যাকসিন নেওয়া বাধ্যতামূলক। তাই অগ্রাধিকার তালিকার ভিত্তিতে আজ স্থানীয় এগারটি পুজো কমিটির ১১০ জনের ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উখড়া পঞ্চায়েতের ১৫ নম্বর সংসদের সদস্য কমলাকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাধাতে তা বাতিল হয়ে যায়। প্রতিবাদে পুজো কমিটির সদস্যরা খান্দরা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় এদিন। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ শাসকদলের সেই পঞ্চায়েত সদস্য কমলাকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আনন্দমোড় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে পঞ্চায়েতের ছ’টি সংসদ। স্থানীয়রা অনেকেই এখনও ভ্যাকসিন পায়নি। পুজো কমিটির নাম করে বহিরাগতদের এনে এখানে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ কমলাকান্ত বাবুর। তিনি জানান আগে স্থানীয়দের ভ্যাকসিন দিতে হবে। পুজো কমিটির সদস্যদের ভ্যাকসিন ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দেওয়া হোক বলে দাবি করেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে উখড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রাজু মুখোপাধ্যায় জানান ভ্যাকসিন কারা পাবে তা নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এর সাথে আলোচনা করে ঠিক হয় আগে স্থানীয়রা ভ্যাকসিন পাবে। সেইমতো আজ স্থানীয়দের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক পরিতোষ সরেনের এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।