অবাক কান্ড! রাত পর্যন্ত্য পুকুর ভর্তি জল, সকাল হতেই মাছ সহ উধাও
আমার কথা, পান্ডবেশ্বর, ১৬ ফেব্রুয়ারী:
পুকুরে ধস, মাছ সমেত উধাও জল। হরিপুর হাটতলা সংলগ্ন এলাকাযর ঘটনা। খনি কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এমনটা ঘটেছে বলে অভিযোগ উপ প্রধানের। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস কর্তৃপক্ষের।
মাছ দু’য়েক আগে হরিপুর হাটতলা সংলগ্ন একটি এম এস কে স্কুল চত্বরে ঘটেছিল ধ্বসের ঘটনা। যার ফলে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল এলাকায়। সেই আতঙ্কের রেশ এখনো কাটেনি স্থানীয়দের। এরই মাঝে ফের এলাকায় ঘটলো ধসের ঘটনা। এবার ধসের কারণে শুকিয়ে গেল আস্ত পুকুরের জল। স্থানীয় সূত্রে খবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলার পর হরিপুর হাটতলা সংলগ্ন গোসাই তোলা মন্দিরের পাশে বড় পুকুরে ঘটেছে ঘটনাটি। সন্ধ্যের পর থেকে হঠাৎই পুকুরের জল কমতে শুরু করে। আজ সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা যায় জল শুকিয়ে পুকুরটি রুক্ষ জমিতে পরিণত হয়েছে। পুকুরে থাকা সমস্ত মাছ ও উধাও। স্থানীয় বাসিন্দা সাধন সূত্রধর জানান দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই পুকুরে মাছ চাষ করছেন। কয়েক মাস আগেই পুকুরে মাছ ছাড়া হয়েছিল। সরস্বতী পুজোর দিন মাছ ধরার কথা ছিল কিন্তু পুকুরে জল বেশি থাকাই ঐদিন মাছ ধরা সম্ভব হয়নি। ধসের কারণে পুকুরের জল শুকিয়ে যাওয়ায় সেই সব মাছও উধাও হয়ে গিয়েছে বলে জানান সাধন বাবু। শিবু মন্ডল জানান এই পুকুরের জল নিত্য প্রয়োজনে স্থানীয় মানুষরা ব্যবহার করেন। জল শুকিয়ে যাওয়ায় কমবেশি সকলেই সমস্যায় পড়বে বলে আশঙ্কা জানান তিনি। হাটতলার বাসিন্দা তথা হরিপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপীনাথ নাগ বলেন ভূগর্ভস্থ খনি থেকে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন ও বিস্ফোরণের ফলে এলাকায় প্রায়ই ধসের ঘটনা ঘটে। এলাকায় তৈরি হয়েছে বিপদজনক পরিস্থিতি। ইসিএল কর্তৃপক্ষকে বহুবার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আবেদন জানিও লাভ হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গোপীনাথ বাবু। ধসের ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে এলাকায় আসেন হরিপুর কোলিয়ারির এজেন্ট পি,কে ঝাঁ। কি কারনে পুকুরের জল শুকিয়ে গেছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।