অন্ডালে স্কুলের পর এবার পঞ্চায়েত দপ্তরে চুরি
আমার কথা, অন্ডাল, ৮ জানুয়ারি:
পঞ্চায়েত অফিসে তালা ভেঙে ঘটল চুরির ঘটনা। তিনটি মোবাইল নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরের দল। রামপ্রসাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। সরকারি নথিপত্র চুরি যায়নি বলে জানালেন পঞ্চায়েত প্রধান ।
গত ১৫-২০ দিনে অন্ডাল এলাকায় ঘটেছে একাধিক চুরির ঘটনা। ২৯ শে ডিসেম্বর কাজোরা আর লছিপুরে একটি তালা বন্ধ ঘরে ঘটেছিল চুরির ঘটনা। ৬ জানুয়ারি শনিবার অন্ডাল গার্লস স্কুলে চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। স্কুলে থাকা নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় চোরেরা। এই সময় কালের মাঝে এলাকার অন্য দুটো সরকারি স্কুলেও ঘটেছে চুরির ঘটনা। কাজোরায় গৃহস্থের বাড়িতে চুরির ঘটনায় দুষ্কৃতিদের ধরতে ও চুরি যাওয়া জিনিসপত্র উদ্ধারে পুলিশ সাফল্য পেলেও সোমবার ফের রামপ্রসাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতর কার্যালয়ে হল চুরি। এদিন সকালে পঞ্চায়েত অফিসের সাফাই কর্মী বন্দনা বাউরি অফিসে এসে দেখেন মেনগেটের তালা ভাঙ্গা। একতলা ও দ্বিতলেও বেশ কয়েকটি রুমের তালা ভাঙ্গা দেখে তিনি পঞ্চায়েত প্রধানকে ফোন করে বিষয়টি জানান। প্রধান সহ অন্যরা কার্যালয়ে আসেন। খবর দেওয়া হয় অন্ডাল থানার পুলিশকে। পঞ্চায়েত প্রধান কৃষ্ণা মণ্ডল জানান পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সদর দরজার তালা সহ আরও বেশ কয়েকটি রুমের তালা ভাঙ্গা রয়েছে। লকার ভাঙ্গা হয়েছে পাঁচ থেকে ছ’টি আলমারির। পঞ্চায়েত অফিসে কোন টাকা পয়সা ছিল না তবে দুষ্কৃতীরা নিয়ে পালিয়েছে পঞ্চায়েত অফিসের তিনটি স্মার্ট মোবাইল ফোন। অফিসের মধ্যে একটি ল্যাপটপ রাখা ছিল সেটি দুষ্কৃতীরা নিয়ে যায়নি। সরকারি নথিও খোওয়া যায়নি বলে জানান কৃষ্ণা দেবী। খবর পেয়ে পঞ্চায়েত অফিসে আসে অন্ডাল থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান এক পুলিশ আধিকারিক
এদিকে এলাকায় বারবার চুরির ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিজেপির জেলা নেতা ছোটন চক্রবর্তী বলেন পুলিশ সরকারি মেলা, খেলার ভিড় সামলাতে ব্যস্ত। এই সুযোগে সুবিধা হয়েছে চোরেদের। শুধু অন্ডাল নয় গোটা রাজ্যেই আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে জানান ছোটন বাবু। রামপ্রসাদপুর পঞ্চায়েতের সদস্য চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন বিরোধীদের অভিযোগ মিথ্যা, পুলিশ সক্রিয় রয়েছে তাই চোরেরা ধরা পড়ছে। পঞ্চায়েত অফিসে চুরির সাথে যুক্ত দুষ্কৃতীরাও দ্রুত ধরা পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন চন্দ্রশেখর বাবু।