হবে না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বসবে না মেলা-প্রশাসনিক নির্দেশ দুর্গাপুরের পুজা কমিটিগুলিকে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ৭অক্টোবরঃ
আসন্ন দুর্গাপুজা উপলক্ষ্যে একটি প্রশাসনিক বৈঠক হয়ে গেল দুর্গাপুরের সিটিসেন্টারের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে। প্রতি বছরের থেকে এ বছরের দুর্গাপুজার পরিবেশ সম্পূর্ণ আলাদা। তাই এ বারের বৈঠকটিও হয় আলাদা মাপের। করোনা অতিমারীর সময় সব বিষয়ে যেমন সরকারী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আবশ্যিক করা হয়েছে তেমনই দুর্গাপুজার ক্ষেত্রেই সেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, আর তা দুর্গাপুজার ক্ষেত্রে কিভাবে মানতে হবে তা ছিল এদিনের বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়।
দুর্গা[পুর মহকুমায় মোট তেরোশটি সর্বজনীন দুর্গাপুজা হয়। এই পুজোর মন্ডপগুলি কিভাবে করোনা আবহে সুস্থ পরিবেশ বজায় রেখে দর্শণার্থীদের প্রতিমা দর্শণের সুযোগ করে দেওয়া যায় তারই মিয়মাবলী এদিনের বৈঠকে জানানো হয়। নিয়ম করা হয় প্রতিটি মন্ডপে যাতে দর্শণার্থীরা মাক্স পড়ে ঢোকেন সেই দিকে কড়া নজরদারি চালাতে হবে পুজো কমিটির সদস্যদের। এছাড়াও মন্ডপে মন্ডপে স্যানিটাইজার রাখতে হবে। তবে ভিড় এড়াতে এ বছর অন্যান্য বছরের ন্যায় করা যাবে না কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কোনো পুজা মন্ডপকে ঘিরে বসানো যাবে না মেলা।
এদিনের বৈঠকে দুর্গাপুরের সার্বজনীন পূজা কমিটিদের নিয়ে প্রশাসন,দমকল,বিদ্যুৎ সহ অন্যান্য দফতরের আধিকারিকদের বৈঠক দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের মেয়র দিলীপ অগোস্থি,ডিসি অভিষেক গুপ্তা,দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অনির্বান কোলে সহ অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকরা সহ ডিএসপি আধিকারিকরা।কোভিড পরিস্থিতিতে অনলাইন পূজা পারমিশন করা যাবে।কি ভাবে লগইন করতে হবে এবং অন্যান্য নিয়মাবলী গুলি জানানো হয়।পূজা কমিটি গুলির মতামতগুলিও শোনা হয়।