দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় রাতভর আটকে থাকলো চোর, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
আমার কথা, দুর্গাপুর, ২৫ জুলাই:
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ভেতর চুরি করতে ঢুকে ফেঁসে গিয়ে এখন শ্রীঘরে ঠাঁই হল চোর বাবাজীবনের।
কারখানা সুত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাত ২ টো নাগাদ দুর্গাপুরের মেইন গেটের রাজানগর এলাকার বাসিন্দা আলতাব আলি নামে এক দুষ্কৃতি কারখানার সি.এইচ.আর.ডি (প্ল্যান্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) সংলগ্ন একটি স্টোরে চুরি করতে ঢোকে। কিন্তু কোনো ভাবে ওই স্টোরের একটি লোহার দরজায় তার মাথা আটকে যায়। কোনো ভাবেই সেখান থেকে সে নিজেকে মুক্ত করতে পারে না। আর চিৎকার করতে থাকে উদ্ধারের জন্য। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয় না। এদিকে সকাল ১০ টা নাগাদ সি.আই.এস.এফের নজরে বিষয়টি আসার পর আলতাবকে উদ্ধার করে প্ল্যান্ট মেডিক্যালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন কারখানার কর্মীরা। তাদের অভিযোগ ওই স্টোরের লাগোয়াই রয়েছে সি.আই.এস.এফদের থাকার জন্য কয়েকটি ঘর। বিষয়টি তাদের নজর এড়িয়ে গেল কি করে? যেখানে আলতাব নিজেকে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করছিল সেখানে আলতাবের আওয়াজ তাদের কানে পৌঁছোলো না কি করে?
এছাড়াও কারখানার কর্মীদের একাংশের প্রশ্ন তাহলে কারখানার নিরাপত্তা কি কেবলমাত্র কর্মীদের কারখানা থেকে বেরোনোর সময় কর্মীদের তল্লাশীতেই সীমাবদ্ধ? বাকি সময়ের নিরাপত্তার দিকে কারোর কোনো নজর নেই?