করোনা আবহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার দুর্গাপুজা হবে উখড়া জমিদার বাড়িতে
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(উখরা), ১৪অক্টোবরঃ
বাস্থ্যবিধি মেনে এবার পুজোর আয়োজন হবে উখড়া জমিদার বাড়ির। প্রতিমা দর্শন করতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে কিছু নিয়ম বিধি। সেই বিধি যারা মানবে প্রতিমা দর্শন এর অনুমতি পাবে শুধুমাত্র তারাই, এমনটাই জানা যাচ্ছে উখরার জমিদার বাড়ির সূত্রে।
বাংলা ১২৪৮ বঙ্গাব্দে শুরু হয় উখরায় জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো। পুজোর আয়োজন হয় স্থানীয় চাঁদনী বাড়ি নাট মন্দিরে। পূজার সূচনা করেন তৎকালীন গ্রামের জমিদার শম্ভুলাল সিং হান্ডে। তিনি ছিলেন ধর্মপ্রাণ মানুষ। পরিবার সূত্রে জানা যায়, তার একমাত্র মেয়ে ঘুসুরানীর অকাল মৃত্যু হয়। মেয়ের মৃত্যু শোক গ্রাস করে শম্ভু নাথ লাল বাবুকে। সেই শোক ভুলতে পারিবারিক কুল গুরু পরামর্শ দেন কন্যারূপে দেবী দুর্গার পুজার আয়োজনের। সেই নির্দেশ মেনেই জমিদারবাড়ির পুজোর সূচনা হয়। পুজো হয় সম্পূর্ণ বৈষ্ণব মতে, ফলে এখানে পশু বা ছাগ বলি নিষিদ্ধ। অষ্টমীর দিন জমিদার বাড়ির তোপের আওয়াজ শুনে গ্রামের অন্যান্য পুজোমণ্ডপে সন্ধিপুজোর বলিদান হয়। সূচনা কাল থেকে জমিদার বাড়ির পুজো আজও অনুষ্ঠিত হচ্ছে সমান আড়ম্বরে, পুরাতন ঐতিহ্য আর ভক্তি সহকারে।
তবে এবার পুজো হবে করোনা আবহে। তাই জমিদার বাড়ি পূজোর আয়োজনে এবার থাকছে বাড়তি সর্তকতা। পরিবারের সদস্য বিশাল লাল সিংহ হান্ডে জানান পুজোর দিনগুলিতে মন্দির চত্বরের মূল গেট খোলা থাকলেও মূল মন্দির ও সংলগ্ন নাট্যশালা ঘেরা থাকবে। দর্শনার্থীদের প্রতিমা দর্শন করতে হবে নাট্যশালার বাইরে দাঁড়িয়ে। ভিতরে শুধুমাত্র প্রবেশের অনুমতি থাকবে পুরোহিত ও সেবাইতদের। দর্শনার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, কেউ মাস্ক পড়ে না এলে তাদের মাস্ক দেওয়া হবে। এছাড়া হাত জীবাণুমুক্ত করার জন্য মন্দিরের প্রবেশ দ্বারে দর্শনার্থীদের জন্য রাখা থাকবে স্যানিটাইজার। প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় গোটা মন্দির চত্বর জীবাণুমুক্ত করার জন্য স্যানিটাইজ করা হবে। ভিড় ও জমায়েত এড়াতে বিসর্জনে এবার শোভাযাত্রা হবে না বলে জানান লালসিংহ হান্ডে।