দুর্গাপুরে এবার সিবিআই সমন পেয়ে তাজ্জব সামান্য কৃষক ও টোটোচালক!!!
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ১৬জুনঃ
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই জেরা থেকে যেমন বাদ যাচ্ছেন না হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতারা তেমনই বাদ যাচ্ছেন না একজন সামান্য চাষী কিংবা টোটো চালক। এরকমই এক চাষী যার নাম অমিত কুমার ঘোষ, সিবিআইয়ের সমন পেয়ে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার দূর থেকে আজ বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ঠিকানায় এসে দেখা করেন। প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে কেন্দ্রীয় গো্যেন্দা সংস্থার আধিকারিকদের জেরার সম্মুখীনও হতে হয়েছে তাঁকে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ২নং ব্লকের বান্দীপুর ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা পেশা চাষী অমিতবাবুকে কেন হঠাৎ সিবিআই তলব আর ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার সাথে তার কিইবা সম্বন্ধ? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রথমেই তিনি জানান, জীবনে আর কোনো দিন কোনো বড় নেতাকে ফোন করবো না। আমার ছেলে সিভিক ভলান্টিয়ার। নেটে অনুব্রত মন্ডলের ফোন নাম্বার পেয়ে তাঁকে ফোন করে শুধু একটাই প্রশ্ন করেছিলাম যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের মাইনে কবে বাড়বে? মাত্র ন’হাজার টাকায় কি সংসার চলে? আমার অপরাধ এটাই আর তার জন্য দেড়শ কিলোমিটার দূর থেকে লোকজনের কাছ থেকে টাকা ধার করে সাড়ে সাত হাজার টাকা খরচ করে আজ আমাকে দুর্গাপুরে আসতে হল। আমি যে নিরপরাধ সেটা তো সিবিআই বুঝতেই পেরেছে। কিন্তু এই যে আমার এতগুলো টাকা আজ ধার হয়ে গেল সেই টাকা কে দেবে?
এতো গেল একজন কৃষকের ঘটনা। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা পেশায় টোটো চালক অজয় দাসকেও আজ সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল। তাঁকেও যখন জিজ্ঞাসা করা হয় কেন সিবিআই তলব, তখন তিনি জানান আমার সাথে রাজনীতির দূর দুরান্তে কোনো সম্পর্ক নেই। মাত্র একবার ফোন করেছিলাম অনুব্রত মন্ডলে। কারন আমরা টোটোচালকরা যে রাস্তায় টোটো চালাই সেখানের রাস্তা খুব খারাপ। টোটো চালাতে খুব কষ্ট হয়। তাই রাস্তা কবে মেরামত হবে সেটুকু জানতেই ফোন করেছিলাম। আর যেহেতু কল লিস্টে আমার নাম্বার পেয়েছেন তাই আমাকে ডেকে পাঠিয়েছে।