এবার দুর্গাপুরের সরকারী হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে শহরেরই বেসরকারী হাসপাতাল
আমার কথা, দুর্গাপুর, ১১ আগস্টঃ
দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে একমাত্র সরকারী হাসপাতাল দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল। একটা সময় ছিল যখন সরকারী হাসপাতাল মানেই দুর্গন্ধ, যত্রতত্র নোংরা, নিম্নমানের খাবার দাবার। গতানুগতিক এই চিত্রটি পালটে পুরোপুরি ভোল বদলে ফেলা হচ্ছে এই হাসপাতালের। সৌজন্যে রোগী কল্যান সমিতি। বছর কয়েক ধরেই এই হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির উদ্যোগে শহরেরই বিভিন্ন সংস্থা তাঁদের আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এই হাসপাতালের মান উন্নয়ণের ক্ষেত্রে। অন্তর্বিভাগ কিংবা বহির্বিভাগে ক্রমশ বাড়তে থাকা রোগীদের ভিড় সামলাতে বাড়ানো হছে ব্যবস্থা। এবার নিরাপত্তা সহ হাসপাতালকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে এই শহরেরই তিনটি সুপার স্পেশালিটি বেসরকারী হাসপাতালের দ্বারস্থ হল রোগী কল্যান সমিতি।
রবিবার হাসপাতালে এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ড: ধীমান মন্ডল, রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান কবি দত্ত, দক্ষিনবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল, নগরনিগমের প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য দীপংকর লাহা সহ ৩ টি বেসরকারী হাসপাতালের কর্নধাররা। রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান কবি দত্ত জানান “হাসপাতালের দুটি ফ্লোর পরিষ্কারের দায়িত্ব নিয়েছেন শহরের দুটি নামী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও বাইরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছেন মলানদিঘীর একটি হাসপাতাল। যে প্রস্তাব দেওয়া মাত্রই ৩ বেসরকারী হাসপাতালই রাজী হয়েছে”।
হাসপাতালের সুপার ড : ধীমান মন্ডল বলেন যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও হাসপাতালের বাইরের নিরাপত্তায় ঘাটতি ছিল, সে কারনেই বেসরকারী হাসপাতাল গুলিকে আহ্বান জানানো হয়েছিল।”
মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান যে “দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবা বাড়ার সাথে সাথে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে পরিষ্কার পরিচ্ছনতার পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়টাও খুব গুরুত্বপুর্ন, তাই বেসরকারী সাহায্যে এই পরিষেবা আরও ভাল করা যাবে।”