বিজেপি কর্মীর পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার তিন বালতি তাজা বোমা
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(পান্ডবেশ্বর), ২৭এপ্রিলঃ
এক বিজেপি কর্মীর পরিত্যক্ত বাড়ির বাগান থেকে উদ্ধার হল তিন বালতি তাজা বোমা। ঘটনাটি জামুরিয়া বিধানসভার খোট্টাডিহি গ্রামের। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে খোট্টাডিহি গ্রামের ডাঙ্গাল পাড়ায় বিজেপি কর্মী কার্তিক মন্ডল এর একটি পরিত্যক্ত বাড়ির বাগানে তল্লাশি চালায় পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় তিন বালতি তাজা বোমা। বালতির মধ্যে বালি দিয়ে ঢাকা ছিল বোমা গুলি। গতকাল অর্থাৎ ২৬ তারিখ সোমবার পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ছিল সপ্তম দফার ভোট। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট পর্ব মিটলেও ভোটের পরের দিন একসাথে এতগুলো তাজা বোমা উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। বোমা গুলি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ঘটনাটি ঘিরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হরেরাম সিং বলেন খুবই উদ্বেগজনক ঘটনা। ভোটে বুথ দখল করতেই বিজেপি বোমা-গুলি মজুদ করেছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানান হরেরাম বাবু।
অন্যদিকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় দলের যোগ অস্বীকার করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। বিজেপি নেতা গৌতম মন্ডল জানান যেখান থেকে বোমাগুলো উদ্ধার হয়েছে সেটি একটি পরিত্যক্ত বাড়ি। বাড়িটি তে দরজা নেই। যে কেউ সেখানে বোমা-গুলি রেখে যেতে পারে। গৌতম বাবু পাল্টা দাবি করেন বোমা-গুলি মজুতের পেছনে তৃনমূলের হাত থাকতে পারে। এলাকায় বিজেপির সংগঠন মজবুত। তাই ভোট লুটের মতলবে তৃণমূল বোমাগুলি মজুত করেছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতির কারণে তারা সেগুলি ব্যবহার করতে পারেনি বলে গৌতম বাবু জানান।
বোমা উদ্ধারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। শান্তি বজায় রাখার জন্য রাতে এলাকায় রুট মার্চ করে কেন্দ্র বাহিনী জাওয়ানরা। কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে বোমা-গুলি মজুদ করেছিল তা জানতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পাণ্ডবেশ্বর থানা সূত্রে খবর।
এদিকে আগামী ২৯ তারিখ বীরভূম জেলায় ভোট। যেখান থেকে বোমা গুলি উদ্ধার হয়েছে সেটি বীরভূম সংলগ্ন। সেখানে সরবরাহের জন্য বোমা-গুলি মজুত করে রাখা হয়ে ছিল কিনা সেই বিষয়টিও ভাবাচ্ছে পুলিশকে।