বাবা মা সহ গৃহশিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘরের ভেতর থেকে
আমার কথা, আসানসোল, ২০ অক্টোবর:
বরাকর ফাঁড়ি অন্তর্গত ৬৭ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত পুরানো জিটি রোড নালা পাড়াতে শুক্রবার মহাষষ্ঠীর দিন এক গৃহশিক্ষক তাঁর মা বাবার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন। মৃত যুবকের নাম অগ্নিশঙ্কর রায়(৩২)। বাবা সুদীপ্ত রায়(৬৪) আর মা শ্বেতা রায়(৫৩)। এই ঘটনা প্রসঙ্গে ওই বাড়ির পরিচারিকা জানিয়েছেন ১৯ অক্টোবর পুজোতে নতুন পোশাক কেনার জন্যে ১৫০০ টাকা ও মিষ্টি মুখের জন্যে আরো ৫০০ টাকা দিয়েছিল ওই পরিবারটি। শুক্রবার দিন দুপুর ১২টার সময় ওই পরিচারিকা রায় পরিবারের বাড়িতে কাজে এসে দেখে বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। দরজার আওয়াজ করেও কোনো সাড়া না পেয়ে সে ফিরে চলে যায়। তবে দুপুর তিনটে নাগাদ পুনরায় কাজ করার জন্যে ফিরে এসে দেখে দরজা বন্ধই রয়েছে। এরপর চিৎকার চেচামেচি ও দরজা ধাক্কা দিয়েও সাড়া না পেয়ে পাড়া প্রতিবেশিদের খবর দেয় ওই পরিচারিকা। শেষ পর্যন্ত বরাকর ফাঁড়িতে খবর দিলে পুলিশ পাঁচিল টপকে দেখে বাড়ির প্রধান দরজায় তালা দেওয়া। পুলিশ এরপর স্থানীয় লোকেদের ডেকে ঘরের তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে দেখে এক ব্যক্তির মৃতদেহে কাপড় ঢাকা দেওয়া রয়েছে। অন্যদিকে মা ও ছেলে একই দড়িতে গলায় ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। প্রাথমিক অনুমান সুদীপ্তবাবুকে খুন অওরে মা ও ছেলে এক সাথে আত্মঘাতী হয়েছে। পুলিশ দেহ দুটিকে নামিয়ে একটি সুইসাইড নোট হাতে পায়। যেখানে এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের উল্লেখ আছে। জানা গিয়েছে, প্রচুর ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে গেছিল ওই পরিবারটি। পাশাপাশি অগ্নিশংকরের বাবা সুদীপ্তবাবু অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি থলিতে কিছু সোনার গহনার সন্ধান পায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে বরাকর ফাঁড়ির আধিকারিক অরিন্দম মণ্ডল এসিপি সুকান্ত ব্যনার্জি, আইসি কৃষ্ণেন্দু দত্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে ও দেহগুলি ময়না তদন্তের জন্যে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়।