করোনা যুদ্ধে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা দিতে এবার পাশে দাঁড়ালেন রাষ্ট্রপতি
আমার কথা, দিল্লি, ২৩এপ্রিলঃ
সারা বিশ্ব আক্রান্ত করোনা ভাইরাসের আক্রমণে। মহামারী নয় অতিমারীর আকার নিয়েছে এই ভাইরাস পৃথিবী জুড়ে। এই সংক্রমণ এড়াতে সকলে মিলে নেমেছে এক অলিখিত যুদ্ধে। কিন্তু এই যুদ্ধে সব থেকে বড় ভূমিকা যারা নিয়েছেন তাঁরা হলেন স্বাস্থ্য পরিষেবার সাথে যুক্ত সমস্ত কর্মীরা। চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্স, এমনকি স্বাস্থ্যকর্মীদেরো নিজেদের পরিবার পরিজন ভুলে নিজেদের প্রাণের মায়া ছেড়ে করোনা লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা নিতে দেখা যাচ্ছে। তাই তাদের স্বার্থে এপিডেমিক ডিজিসেস অ্যাক্টের সংশোধনী আইন পাশ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, যা ১৮৯৭ সালের সংশোধনী আইন।
এই সংশোধনী আইনের আওতায় যদি কোনো ব্যাক্তি বা ব্যাক্তিবর্গ স্বাস্থ্য পরিষেবার সাথে যুক্ত কারুর উপর হামলা চালায় বা হেনস্থা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যা কমপক্ষে ৩মাসের হাজতবাস বা সর্বোচ্চ ৭ বছরের হাজতবাস। সাথে জরিমানা ধার্য করা হবে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা বা সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা। শুধু তাই নয় যদি কোনো স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি হানি করা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে এই আইনে সেই সম্পত্তির বর্তমান বাজার মূল্যের দ্বিগুণ মূল্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে অভিযুক্ত ব্যাক্তি বা ব্যাক্তিবর্গকে। এই প্রেক্ষিতে অভিযোগ দায়েরের এক বছরের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ২২এপ্রিল অর্থাৎ বুধবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সম্মতিতে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক থেকে এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।