দুর্গাপুরে প্রচারের মাঝে হাতাহাতি, অসুস্থ হয়ে পড়লেন তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ
আমার কথা, দুর্গাপুর, ৩১ মার্চঃ
কর্মী সমর্থকদের সাথে প্রচারে বেরিয়েছিলেন প্রার্থী, প্রচার শুরু হতেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দলের দুই গোষ্ঠীর লোকজন, যা দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। রবিবার দুর্গাপুরের আমরাই গ্রামের ঘটনা ।
দুর্গাপুর-বর্ধমান লোকসভা আসনে জোড়া ফুল প্রতীকে প্রার্থী হয়ে সবার প্রথম প্রচারে নেমেছেন কীর্তি আজাদ। বিরোধী প্রার্থীদের থেকে প্রচারে এগিয়ে রয়েছেন বেশ কয়েক কদম। প্রতিদিনই লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় প্রচারে প্রার্থীকে ঘিরে কর্মী সমর্থকদের উচ্ছ্বাসও চোখে পড়ছে। তবে প্রচারে ছন্দপতন ঘটলো রবিবার। এদিন দুর্গাপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আমরাই গ্রামে প্রচারে যান কীর্তি আজাদ। স্থানীয় একটি মন্দিরে পুজো দিয়ে শুরু হয় প্রচার পর্ব। কিন্তু প্রচার শুরু হতেই ঘটে অবাঞ্ছিত ঘটনা। প্রার্থীকে নিয়ে প্রচারে কারা থাকবে সামনের সারিতে তাই নিয়ে বচসা জড়ায় স্থানীয় দুই শ্রমিক নেতা শেখ শাহাবুদ্দিন ও আমিনুর রহমানের গোষ্ঠীর লোকজন। মুহূর্তে শুরু হয়ে যায় ধাক্কাধাক্কি হাতাহাতি। এই ঘটনাতে অসুস্থ হয়ে পরেন প্রার্থী কীর্তি আজাদ। ভিড় থেকে বেরিয়ে সামনেই স্থানীয় একটি মন্দিরে ঢুকে পড়েন তিনি। সেখানে আধঘন্টা বিশ্রাম নেওয়ার পর প্রার্থী ফের বের হন প্রচারে।
ঘটনা প্রসঙ্গে শেখ শাহাবুদ্দিন বলেন প্রার্থী কে নিয়ে আমরা প্রচারে বের হয়েছিলাম। প্রচারে কিছু অবাঞ্চিত লোক ঢুকে পড়েছিল। তারাই গন্ডগোল পাকিয়েছে। দলের বদনাম করতে পরিকল্পিতভাবে এটা করা হয়েছে। বিষয়টি উচ্চ নেতৃত্বকে জানাবো। অপরদিকে আমিনুর রহমানের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দুর্গাপুরের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, “মিছিলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে প্রার্থী ভয়ে মন্দিরে গিয়ে আস্রয় নেন। কি অবস্থা এই দলটার। এখনো চল্লিশ দিন বাকি ভোটের। দেখুন আগামীদিনে কি অবস্থা হয়। আপনাকে এরা পাগল করে ছাড়বে। আপনাকে খালি হাতেই ফিরতে হবে”।
প্রার্থী কীর্তি আজাদ বলেন “কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। আসলে এটা উত্তেজনার কারনে ঘটেছে। কে আগে স্বাগত জানাবে তা নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। বিজেপির উচিত অন্যের দিকে না তাকিয়ে নিজের দল কি করছে সেটা দেখা”।
প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে ভোটের আগে দলের অস্বস্তি বাড়লো বলে মত শাসকদলের সাধারণ কর্মীদের।