“ভোটের আগে তৃণমূল সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে”-আহত বিজেপি নেতাকে দেখে মন্তব্য জিতেনের
আমার কথা, অন্ডাল, ১৬ এপ্রিলঃ
আক্রান্ত বিজেপি নেতা। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, অস্বীকার শাসক দলের। সোমবার রাতে অন্ডালের কাজোড়া মোড় এলাকার ঘটনা। অভিযোগ পেয়ে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে অন্ডালের কাজোড়া মোড়ে নিজের দোকানে আক্রান্ত হন সঞ্জয় চৌধুরী নামে এক জন। আক্রান্ত ব্যক্তি বিজেপি দলের রানীগঞ্জ দু’নম্বর মন্ডল সভাপতি। সঞ্জয়বাবু জানান “কাজোড়া মোড়ে তার নিজের একটি গোলদারি সামগ্রীর দোকান রয়েছে। সোমবার রাতে দোকানে ভাই ছিল। সে সময় একজন ব্যক্তি দোকানে জিনিস নিতে আসেন। তার পছন্দ মত সব জিনিস দোকানে না থাকায় তিনি রেগে আমার ভাইকে অভদ্র ভাষাতে গালাগাল করতে থাকেন। আমার ভাইয়ের উপর চড়াও হন। ভাইকে বাঁচাতে আমি ছুটে যাই। সেই সময় ওই ব্যক্তি দোকান ছেড়ে চলে যান। কিছুক্ষণ পর কয়েকজন সঙ্গী-সাথী নিয়ে এসে আমার উপর হামলা চালায়। আমাকে ব্যাপক মারধর করা হয়, মাথা ফেটে যায়।” আক্রমণকারীরা সকলেই তৃণমূলের লোক বলে দাবি করেন সঞ্জয়বাবু। অভিযোগ অস্বীকার করা হয় শাসক দল তৃণমূলের তরফ থেকে। দলের ব্লক সভাপতি নেতা তথা জেলা পরিষদের সহ সভাপতি বিষ্ণুদেও নুনিয়া বলেন “অভিযোগকারী সঞ্জয়বাবু গোলদারি দোকানের আড়ালে মদ বিক্রির ব্যবসা করেন। তা নিয়ে কোন এক ক্রেতার সাথে সঞ্জয়বাবুর ঝামেলা হয়। ঘটনার সাথে তৃণমূলের কোন যোগ নেই” বলে দাবি করেন বিষ্ণুদেও বাবু।
আজ মঙ্গলবার আহত সঞ্জয় চৌধুরীকে দেখতে তার বাড়ি আসেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি। তিনি অভিযোগ করেন ভোটের আগে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা সঞ্জয়ের উপর আক্রমণ চালিয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেন জিতেন বাবু। বলেন যেহেতু হামলাকারীরা তৃণমূলের লোক তাই পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে না । দুষ্কৃতিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান তিনি। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে অন্ডাল থানার এক আধিকারিক জানান।