অমরনাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগে আটকে আসানসোলের ১২ জন যুবক, উদ্বেগে পরিবার
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(আসানসোল), ৯ জুলাইঃ
অমরনাথে গিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে আসানসোলের একদল যুবক। আসানসোল গ্রামের শ্যামলেন্দু রায়, অমিত রায়, বাপ্পা সামন্ত সহ ১২ জন গিয়েছেন অমরনাথ দর্শনে। এরা সকলেই নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবের সদস্য। ওই যুবকদের পরিবার রয়েছেন উদ্বেগের মধ্যে। ওই যুবকরা তাঁদের পরিবারকে কোনক্রমে যোগাযোগ করতে পেরেছেন। জানিয়েছেন কীভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়েছেন তাঁরা। কোনও মতে প্রাণে বেঁচেছেন তাঁরা। তবে টাকা পয়সা জিনিসপত্র সব খোয়া গেছে। দুর্ঘটনার শিকার যুবকদের পরিবারের সদস্যদের চোখ এখন শুধুই টিভিতে। কারো মোবাইলে চার্জ নেই। কারো বা নেই নেটওয়ার্ক। তবু ঘন ঘন মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা। কেউ আটকে রয়েছেন ক্যাম্পে, কেউ বা হাঁটা পথে পাহাড় বেয়ে নেমে আসছেন বিপদমুক্ত জায়গায়। তবে একটাই স্বস্তি ওই ১২ জন আপাতত বিপদ মুক্ত। তবু বাড়ি ফিরে না আসা পর্যন্ত উদ্বেগেই রয়েছেন রায় পরিবারের সদস্যরা। শ্যামলেন্দু রায়ের দাদা, মা, স্ত্রী জানিয়েছেন সেই রোমহর্ষক ঘটনার কথা। জানা গেছে শ্যামলেন্দু রায় সহ বন্ধুরা অমরনাথ দর্শন করে বেরিয়ে লঙ্গরখানায় যখন খাবার খাচ্ছিলেন। তখনই পাহাড়ি বান ধেয়ে আসে। যখন পাহাড় বেয়ে বান নেমে আসছে তখন কানের কাছে শুধু আওয়াজ শুনতে পান ভাগো ভাগো। দিক বিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে তারা উঁচু জায়গায় দৌড়ানো শুরু করেন। তবুও জলে ভিজে যান। কেউবা আছড়ে পড়ে যান। চোখের সামনে দেখেন পাহাড়ি বান কিভাবে ভাসিয়ে নিয়ে গেল সবকিছু। ভাসিয়ে নিয়ে গেল ওই লঙ্গরখানাকে। বহু পুন্যার্থী ভেসে গেল চোখের সামনে। আসানসোল গ্রামের রায় পরিবারের সদস্যদের এখন একটাই প্রার্থনা যেন গ্রামের ছেলেরা সুস্থ ও বিপদ মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরে আসে।
৪ জুলাই আসানসোল থেকে ওই ১২ জন যুবক রওনা হয়েছিলেন অমরনাথ দর্শণে।তাদের লে লাদাখ যাওয়ার কথা। ফিরে আসার কথা ছিল ১৮ জুলাই। তবে আপাতত সব বাতিল করে সকলেই বাড়ি ফেরার চেষ্টায়।