করোনায় মৃত্যু দুই ভাইয়ের, তিনদিনের জন্য লকডাউন দুর্গাপুরের গোপালমাঠ এলাকা
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২সেপ্টেম্বরঃ
সমগ্র রাজ্য সহ জেলা পশ্চিম বর্ধমানে করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। করোনায় মৃত্যুও হচ্ছে অনেক মানুষের। এমতবস্থায় মানুষজন যদি নিজেরা সচেতন না হয় তাহলে এই সংক্রমনের মারনব্যাধির হাত থেকে নিস্তার নেই কারুর এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। তাই বিশেষজ্ঞদের মতকে গুরুত্ব দিয়ে নিজেদের করোনার হাত থেকে বাঁচাতে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের অন্তর্গত গোপালমাঠ এলাকার বাসিন্দারা। আজ থেকে তিনদিনের জন্য গোপালমাঠ এলাকার সমস্ত বাজার হাট থেকে শুরু করে দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে গোপালমাঠের জবুরবাঁধ এলাকায় একই পরিবারের দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। শুধু তাই নয় ওই এলাকায় বেশ কিছু মানুষ করোনায় আক্রান্ত। তাই গোপালমাঠ এলাকার বাসিন্দারা সিদ্ধান্ত নেন করোনার সংক্রমনের হাত থেকে বাঁচতে গেলে নিজেদের সচেতন হতে হবে।
মেয়র পারিষদ তথা গোপালমাঠের বাসিন্দা প্রভাত চ্যাটার্জী জানান যে, “গোপালমাঠ এলাকায় ক্রমশই বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। এলাকার মানুষজন এতে একদিকে যেমন ভীষণ রকম চিন্তিত তেমনই আতঙ্কিত। তাঁরা আমার কাছে এ বিষয়ে জানালে আমরা সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিই তারপর মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলের কাছে অনুমতি চাইলে তিনি আমাদের এই লকডাউনের অনুমতি দেন। তাই আজ থেকে তিনদিনের জন্য গোপালমাঠ এলাকার সমস্ত বাজার থেকে শুরু করে দোকানপাট বন্ধ থাকবে। শুধু তাই নয় জবুরবাঁধ এলাকার যে জায়গাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে সেই জায়গাটি আমরা বাঁশের ব্যারিকেড করে কনটেনমেন্ট জোন করে নিয়েছি যাতে বাইরে থেকে কেউ সেখানে আর প্রবেশ করতে না পারে।” তিনি আরো জানান যে, “ওই এলাকার প্রায় ৭৮ জন এলাকাবাসীর সোয়াব পরীক্ষার জন্য লালারস সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাছাড়াও ইতিমধ্যে আমি দুর্গাপুর নগর নিগমের মেয়রের থেকে অনুমতি নিয়ে এই এলাকা জীবানুমুক্ত করিয়েছি গতকাল। আগামীকাল আবারও জীবানুনাশক দিয়ে জীবানুমুক্ত করা হবে এলাকাটি।”
মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলে জানান যে, “গোপালমাঠ এলাকায় ক্রমশই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা তাই সংক্রমণ রোধে তিনদিনের জন্য নিজেদের এলাকা লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। আমি অনুমতি দিই। সাথে করোনার বিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দাদের এরকম সচেতনতা যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে।”