আনফিট শ্রমিক, পোষ্যের চাকরির দাবিতে ধর্ণা
আমার কথা, অন্ডাল, ৪ অক্টোবর:
অবস্থায় দুর্ঘটনাতে হারিয়েছেন কর্মক্ষমতা। তাই নিজের চাকরিতে ছেলেকে নিয়োগের আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু তা এখনো কার্যকর হয়নি। দ্রুত ছেলেকে নিয়োগের দাবিতে চাণকে ধর্নায় বসেছেন অসুস্থ শ্রমিক ও তার স্ত্রী। ইসিএলের খাস কাজোরা ১০ নম্বর পিট কোলিয়ারির ঘটনা।
ইসিএলের খাস কাজোরা কোলিয়ারি ১০ নম্বর পিটে স্থায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন ভীম মাহাতো (৫৯)। ২০১৬ সালে খনি গর্ভে কর্মরত অবস্থায় মাথাতে গুরুতর চোট পান তিনি। দৃষ্টি ও শ্রবণ শক্তির পাশাপাশি হারান কর্মক্ষমতাও। এই অবস্থায় মেডিকেল বোর্ড তাকে আনফিট ঘোষণা করে। ভীমবাবু এরপর তার পরিবর্তে চাকরিতে ছেলেকে নিয়োগের আবেদন জানান। দীর্ঘ দিনেও সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। উল্টে ভীমবাবু এতদিন যে বেতন পেতেন সংস্থা থেকে গত তিন মাস আগে তা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। তিনি নিজে অসুস্থ তাই ভীমবাবুর স্ত্রী ও ছেলে বিভিন্ন জায়গায় দরবার করা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছ থেকে কোন সদুত্তর পাননি বলে অভিযোগ। শনিবার অসুস্থ ভীম বাবুকে খাটে শুইয়ে কোলিয়ারির চাণকের উপর ধর্নাতে বসেন তার স্ত্রী ও ছেলে। তাদের সমর্থনে এগিয়ে আসে শ্রমিক সংগঠন এইচএমএস । সংগঠনের পক্ষে বিষ্ণুদেও নুনিয়া জানান কর্মরত অবস্থায় ওই শ্রমিক আহত হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন। তার বেতন বন্ধ করে দেওয়াটা অমানবিক। মেডিকেল বোর্ড আনফিট ঘোষণা করার সত্ত্বেও ছেলেকে এখনো কেন নিয়োগ করা হয়নি সেই বিষয়েও সরব হন তিনি। সংশ্লিষ্ট কোলিয়ারির পিট ম্যানেজার নবনীত পোটা বিষয়টি নিয়ে বলেন বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।