“ভ্যাকসিন থেকে অন্যান্য শারীরিক সমস্যার মুক্তি মিলতে পারে” ভ্যাকসিন নিয়ে এমনটাই মত ICDS কর্মীর
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(কাঁকসা), ৩ফেব্রুয়ারীঃ
গত ১৬ই জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে ভ্যাকসিন দেবার কাজ। সেই মতো রাজ্য জুড়ে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজও চলছে জোর কদমে।
কোথাও কোথাও ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে অসুস্থ্ হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও ভ্যাকসিন পুরোপুরি নিরাপদ ও ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি বলে জানালেন পারাজ অঞ্চলের আইসিদিএস কর্মী কল্যাণী ভট্টাচার্য্য।
৫৭বছর বয়সী কল্যাণী ভট্টাচার্য্য গত সোমবার পুরষা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে করোনার ভ্যাকসিন নেন। ভ্যাকসিন নিতে যখন অনেকেই ভয় পাচ্ছেন সেই জায়গায় তিনি উৎসাহের সাথে সকাল সকাল হাসপাতালে পৌঁছে যান ভ্যাকসিন নিতে। তবে ভ্যাকসিন নিয়ে তিনি অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে জানান।
জানা গিয়েছে, গত ডিসেম্বর মাসে কল্যানীদেবী শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা ও উচ্চ রক্তচাপ ও সুগারের সমস্যা নিয়ে পানাগড় সেনা ছাউনি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেনায় উচ্চ পদস্থ অফিসারের মা হওয়ার জন্য সেখানে চিকিৎসকরা তাঁর দ্রুত চিকিৎসা করে কয়েকদিনের ভিতরে সুস্থ্ করে বাড়ি পাঠান। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে বিশ্রাম নেবার পরামর্শও দিয়েছিলেন। কিন্তু পুরোপুরি না হলেও সরকারি নির্দেশে তাঁকে ভ্যাকসিন নিতে যেতে হয়।
তবে ভ্যাকসিন নেবার তিনদিন পর তিনি জানিয়েছেন হঠাৎ করে তাঁর স্বাস কষ্ট জনিত যে সমস্যা গুলি হতো তা প্রায় নেই বললেই চলে। পাশাপাশি শারীরিক যে সমস্ত দুর্বলতাগুলো ছিলো তাও প্রায় নেই বললেই চলে।
ভ্যাকসিন নেবার পর শরীর অনেকটাই হালকা অনুভব করছেন বলে জানান কল্যানীদেবী। প্রশাসনিক নির্দেশ আসলেই সকাল হলেই নিজের বিদ্যালয়ে পৌঁছে স্কুলের কাজ শুরু করার মত প্রস্তুতি নিতে শুরুও করে দিয়েছেন তিনি।
যারা এখনো ভ্যাকসিন নেননি বা ভ্যাকসিন নিতে ভয় পাচ্ছেন, তাঁদের জন্য তিনি বার্তা দিয়েছেন নির্দ্বিধায় সকলেই ভ্যাকসিন নিন। ভ্যাকসিন নিয়ে সম্ভবত অন্যান্য সমস্যা থেকেও মুক্তি মিলতে পারে।