সন্তানের জন্ম দিতে না পারায় অন্ডালে গৃহবধূকে খুন?
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(অন্ডাল), ২০ ডিসেম্বরঃ
গৃহবধূর অপরাধ ছিল সে কোনো সন্তানের জন্ম দিতে পারছিল না আর তারই খেসারত দিতে হল নিজের প্রাণ দিয়ে। মর্মান্তিক এই ঘটনাট ঘটেছে অন্ডালের ধান্ডাদিহি গ্রামে। শ্বশুরবাড়ির পরিবারের বিরুদ্ধে। গৃহবধূকে খুন করার অভিযোগ আনলো গৃহবধূর বাবার বাড়ির পরিবার। যদিও পুলিশের কাছে মৃতার পরিবারের তরফে কোনো লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত্য)। পুলিশ গৃহবধূর মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
জান গিয়েছে, কাঁকসার জাটগড়িয়া এলাকার বাসিন্দা কেয়া গড়াইয়ের(৪০) সাথে পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় অন্ডালের ধান্ডাডিহি গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণ গড়াইয়ের। গৃহবধূর স্বামী একজন ইসিএল কর্মী।
মৃতার কাকা পূর্ণচন্দ্র গড়াই অভিযোগ করেন, তারা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের, বহু কষ্ট করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন কিন্তু মেয়ের শ্বশুরবাড়ির তরফ থেকে হামেশাই টাকা পয়সা চাওয়া হতো, অত্যাচার করা হতো তাদের মেয়ের উপর। বিয়ের পাঁচ বছর কেটে যাওয়ার পরেও তাদের মেয়ের কোনো সন্তান না হওয়ায় দক্ষিণ ভারতের বেসরকারি হাসপাতালে দেখানোর জন্য এক লক্ষ টাকা দাবি করা হয় তাদের কাছে । কষ্ট করে সেই টাকাও দেওয়া হয়েছিল বলে জানান পূর্ণ চন্দ্র গড়ায় ,কিন্তু মঙ্গলবার সকালে তার মেয়ের শ্বশুরবাড়ির এলাকার মানুষ ফোন করে তাদের ্মেয়ের মৃত্যুর ঘটনা জানায় । পূর্ণচন্দ্র বাবু বলেন, তড়িঘড়ি তারা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে দেখেন মৃত অবস্থায় উঠোনে নামানো আছে তাদের মেয়ের নিথর দেহ । তাদেরকে জানানো হয় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে কেয়া। কিন্তু মৃতার পরিবারের অভিযোগ তাদের মেয়েকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। আর এর জন্য মেয়ের শ্বাশুড়ি ও জামাই দায়ী। খবর পেয়ে অন্ডাল থানার পুলিশ কেয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।