অনুব্রতর দেহরক্ষীর গাড়ি দুর্ঘটনায় কিসের ঈঙ্গিত বিজেপির রাজ্য সভাপতির?
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২৭ এপ্রিলঃ
মধ্যরাত্রে রাস্তায় তুলনামুলক গাড়ী ঘোড়া কম থাকে। সেখানে এতবড় একটা দুর্ঘটনা হয়ে গেল। সন্দেহের অবকাশ আছে। নিছকই দুর্ঘটনা, না দুর্ঘটনা বলে চালানো হচ্ছে? তদন্ত হওয়া উচিত।” বুধবার পুরুলিয়া যাওয়ার পথে দুর্গাপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এমনই খোঁচা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের নতুন করে সক্রিয়তা প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুললেন তিনি। উল্লেখ্য, গরু পাচারকান্ডে বীরভুম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল ও তার দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে সিবিআই। যদিও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অনুব্রত মন্ডল অসুস্থতায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। গতকাল গভীর রাতে অনুব্রত মন্ডলের নিরাপত্তারক্ষী সায়গল হোসেন দুর্গাপুর থেকে ঈদের বাজার করে ফেরার পথে ইলামবাজারের কাছে একটি ডাম্পারের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় সায়গল হোসেনের শিশুকন্যা সহ দুজনের মৃত্যু হয়। সিবিআই তদন্তের মাঝে দেহরক্ষীর ওই দুর্ঘটনাকে ঘিরে বিস্তর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষীর গাড়ী দুর্ঘটনার প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন,” মধ্যরাত্রে রাস্তায় তুলনামুলক গাড়ী ঘোড়া কম থাকে। সেখানে এতবড় একটা দুর্ঘটনা হয়ে গেল। সন্দেহের অবকাশ আছে। নিছকই দুর্ঘটনা। না, দুর্ঘটনা বলে চালানো হচ্ছে?” তিনি বলেন,” অনুব্রত মন্ডল বিভিন্ন পুলিশ, আধিকারিককে নির্দেশ দিতেন দেহরক্ষীর ফোন থেকে। স্বাভাবিকভাবেই দেহরক্ষীর গাড়ী দুর্ঘটনা হওয়া, আমার মনে হয় দুর্ঘটনা নয়। তদন্ত হওয়া উচিত। সিবিআই’র দেখা উচিত, দুর্ঘটনার সঙ্গে কারা যুক্ত। পরিকল্পনা করে করা হয়েছে কিনা দেখা উচিত। তদন্ত হলে পরিস্কার বোঝা যাবে, তাকে ভয় দেখানোর জন্য কিনা, সে যেন মুখ না খোলে। তাকে শেষ করার জন্য এরকম চক্রান্ত হয়েছিল।”