দুর্গাপুরে এসে “শো কজ” প্রসঙ্গের প্রশ্নে অস্বস্তিতে অগ্নিমিত্রা, সামলালেন কিভাবে

আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান(দুর্গাপুর), ২৪ডিসেম্বরঃ
বছর দুয়েকও হয়নি, রাজনীতির আঙ্গিনায় পা রেখেছেন ফ্যাশন জগতের তারকা অগ্নিমিত্রা পল। তবে মাত্র দু বছরেই তিনি রাজ্যের মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়ে গেলেও রাজনীতিতে অভিজ্ঞতা কমের কারনে বারে বারে প্রতিবাদী হতে গিয়েও মুখ থুবড়ে পড়তে হচ্ছে বিজেপির এই মহিলা সভানেত্রীকে, সে তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রাক্তন সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারীর বিজেপিতে যোগদানের প্রসঙ্গে প্রতিবাদ করতে গিয়েই হোক কিংবা রাজ্যে নারী নির্যাতন নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নবানে জর্জরিত হয়েই হোক। তাই বৃহস্পতিবার রাজ্যে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে দুর্গাপুরে মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারী প্রসংগে করা প্রশ্নে রীতিমতো ঢোক গিলতে হল তাঁকে। জিতেন্দ্র তিওয়ারীকে নিয়ে আপত্তি শুধু অগ্নিমিত্রাই জানাননি, জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুলও। তাহলে শো কজ করা হল কেন শুধু তাঁকেই? এ কি শীর্ষ নেতৃত্বের দ্বিচারিতা নয়? এক্ষেত্রেও সেই একই হাল হল সভানেত্রীর। এক্ষেত্রেও তিনি শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের উপরেই বিষয়টির দায় চাপিয়ে নিজেকে আড়াল করতে ব্যস্ত হলেন। অবশ্য সাথে তিনি এও বলেন যে শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর অভিভাবকের মতো। ছেলে মেয়ে যেমন ভুল করলে অভিভাবক যেমন শাসন করে, তেমনই তাঁকে শাসন করা হয়েছে। তবে বিজেপিতে আর কারা কারা আসছেন তা নিয়েও আর কোনো মতেই মুখ খুলতে চাইলেন না অগ্নিমিত্রা। এমনিতেই তো তিনি লঘু পাপে গুরুদন্ড ভোগ করছেন। তবে ওই একই প্রসঙ্গে তিনি এই কথাও বলেন যে বিজেপি দলটা তৃণমূলের মতো “ইনডিসিপ্লিন” দল নয় তাই দলের নিয়ম সবাইকেই মেনে চলতে হবে। যদিও তাঁর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এই প্রশ্নও তুলছেন যে তাহলে জিতেন্দ্র তিওয়ারীকে নিয়ে মন্তব্যের আগে কি তাঁর দলের “ডিসিপ্লিন” এর বিষয়টা মনে ছিল না? তবে তাঁরা এটাও বলছেন যে অগ্নিমিত্রার ক্ষেত্রে শীর্ষ নেতৃত্বের নেওয়া এই পদক্ষেপ(শো কজ) হয়ত তাঁকে রাজনীতিকে আরো অভিজ্ঞ হতে শিখিয়ে দেবে।