২৪ঘন্টার মধ্যে শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে একই কারখানায় ফের শ্রমিকের মৃত্যু
আমার কথা, পশ্চিম বর্ধমান, ৯জুনঃ
২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ালো শ্রমিকমহলে। ঘটনাটি ঘটেছে সগড়ভাঙ্গার কাছে একটি বেসরকারী কারখানার চার নং ইউনিটে। মৃত শ্রমিকের নাম সমীর ঘোষ(৪৩)। ঘটনার প্রতিবাদ জানান আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়াল।
ওই কারখানারই আরেক শ্রমিক সেখ বান্টি জানান যে, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে ওই বেসরকারী কারখানার ইউনিট-ফোরে এ শিফট চলার সময় ভোর ৬টা ৩০ নাগাদ কুলিং টাওয়ারে চেপে কাজ করছিলেন সমীর। আচমকাই তাতে শর্ট সার্কিট হয়ে তাতেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হন সমীরে। তাঁরা উপর থেকে সমীরকে ঞ্চে নামিয়ে কারখানার অ্যাম্বুলেন্সে খবর দেন। অভিযোগ অ্যাম্বুলেন্স আসতেও দেরী করে। তাদের অভিযগ অত বড় কারখানায় যেখানে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করে সেখানে মাত্র একটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। এদিকে তারপর সমীরকে ই এস আই হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত বলে জানান।
ওই শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে যান তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়াল। শ্রমিক নেতাকে পেয়েই ওই কারখানার অন্যান্য শ্রমিকরা তাদের অভাব অভিযোগের বিষয়গুলি তুলে ধরেন। বিশ্বনাথবাবু বলেন যে, সগড়ভাঙ্গার এই বেসরকারী কারখানা নিয়ে প্রায়সই নানা অভিযোগ আসে তাঁর কাছে। বছর খানেক আগেও ওই কারখানার এই ইউনিটেই জলে ডুবে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত্য কারখানা কর্তৃপক্ষ ওই মৃত শ্রমিকের পরিবারকে কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়নি বলে অভিযোগ। বিশ্বনাথবাবু হুঁশিয়ারি দেন যে, এই শ্রমিকের মৃত্যুর ক্ষেত্রেও যদি কর্তৃপক্ষ এরকম উদাসিন থাকে তাহলে বড় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বড় আন্দোলনের পথে পা বাড়াবে।
এদিকে হাসপাতালে আসা কারখানার এক আধিকারিককে এ বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কিছু বলতে রাজী হননি।
প্রসঙ্গতঃ গতকাল বাঁশকোপা শিল্পতালুকে ওই একইবেসরকারী কারখানার তিন নং ইউনিটে বিষাক্ত গ্যাস লিক করে মৃত্যু হয় ধর্মেন্দ্র যাদব নামে এক শ্রমিকের। সে ক্ষেত্রেও অভিযোগ অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষ।